নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: সিঙ্গুর লোকাল ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে চলা বিক্ষোভের তীব্রতা কিছুটা কমলেও, আন্দোলন এখনও সম্পূর্ণ স্তিমিত হয়নি। মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং বিধায়ক করবী মান্নার নেতৃত্বে গতকাল সিঙ্গুর স্টেশনে ট্রেনটি আটকে রেখে বিক্ষোভ করা হলেও, আজ কোনও উল্লেখযোগ্য প্রতিবাদ দেখা যায়নি। তবে, আন্দোলনকারীরা এখনও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে এবং আন্দোলন জারি রাখার হুমকি দিয়েছে।
গতকাল, সিঙ্গুর লোকাল ট্রেনের যাত্রাপথ তারকেশ্বর ও হরিপাল পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক করবী মান্না এবং স্থানীয় বাসিন্দারা সিঙ্গুর স্টেশনে ট্রেনটি আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, এই ট্রেনটি সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিস্বরূপ এবং এটি সিঙ্গুরের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ বুধবার, সিঙ্গুর স্টেশনে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও, কোনও উল্লেখযোগ্য বিক্ষোভ দেখা যায়নি। ট্রেনটি নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী তারকেশ্বরের দিকে রওনা হয়েছে।
মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, তিনি ডিআরএমকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে, যদি তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আন্দোলন আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দাস জানিয়েছেন, “রেলের নতুন সময়সূচী অনুযায়ী ট্রেন যাতায়াত করবে।”
সিঙ্গুর লোকাল ট্রেনটি তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিস্বরূপ চালু করেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই ট্রেনটি সিঙ্গুরের মানুষের আবেগের সাথে জড়িত এবং এটি সিঙ্গুরের ইতিহাসের একটি অংশ। তাই, এই ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা মানে সিঙ্গুরের ইতিহাসকে মুছে দেওয়া। মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, “তিনি ডিআরএমের সাথে দেখা করবেন এবং তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদি তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আন্দোলন আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে।”