নিজস্ব প্রতিনিধি,দক্ষিণ দিনাজপুর: প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পেটের দায় মেটাতে মানুষ ছুটে চলেছেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। যে পেশার সাথে যুক্ত হন না কেন পেটের দাবি একই! সঠিক সময়ে খাবার। নিজেকে সুস্থ রাখতে একান্ত প্রয়োজন সঠিক সময়ে খাওয়ার। আর সেই পেটের দায় মেটাতেই এবার অদ্ভুত অসুস্থতা।
কুমারগঞ্জ থানার পাশের একটি হোটেলের খাবার খেয়ে একত্রে অসুস্থ একাধিক পুলিশকর্মী অভিযোগ এমনটাই। অসুস্থ প্রায় ২৫ জন পুলিশ কর্মী। হোটেলের খাবার খাওয়ার পরেই কেউ ভুলভাল বকছে, আবার কেউ কথা বলতে গিয়েও বলতে পারছেন না। এ কি হলো? এ কেমন আজব অসুস্থতা! কোন কারণেই বা হঠাৎ এমন ঘটনা? একাধিক প্রশ্ন দানা বেধেছে ঘটনাকে ঘিরে।
এরইমধ্যে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আট জন পুলিশকর্মী। বাকি আরও কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে কুমারগঞ্জে। তবে এরইমধ্যে বেশকিছু মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ কর্মী, শিশু ও মহিলাও রয়েছে।
জানা গেছে, কুমারগঞ্জ থানা চত্বরের ওই হোটেলটি থেকে প্রায় প্রতিদিনই পুলিশকর্মীরা খাওয়া দাওয়া করেন। এদিন দুপুরেও অন্যান্যদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ওই হোটেল থেকে খাবার খান। কিছুক্ষণের মধ্যেই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা।জানা গিয়েছে এই হোটেলের খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়েছেন এএসআই শ্রীমন্ত কুমার রায়। শুধু গ্রাহক নয় এমনকি এই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন খোদ হোটেলের মালিকও।
পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সম্ভবত হোটেলের রান্না করা ডালেই কিছু ছিল বলে অনুমান। এদিকে বালুরঘাট হাসপাতালে ওই খবর পেয়ে ছুটে আসে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস, হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে কুমারগঞ্জেও ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিষয়টি নজর রাখা হচ্ছে। কিভাবে খাবার খেয়ে অসুস্থ হলেন সকলে? এমন কি দোকানের মালিকও অসুস্থ একই খাবার খেয়ে। তবে কি অন্য কোথাও গন্ডগোল? নাকি অন্য কিছু? প্রশ্নের উত্তরে স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাকে ঘিরে চলবে তদন্ত।