আবাস যোজনার টাকা ফেরতের চিঠি প্রশাসনের

জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,নদিয়া : তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবাস যোজনায় আবেদন করেছিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের এক পরিবার। তথ্য যাচাই করতে গিয়ে জানতে পারে প্রশাসন। প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছিলো ওই পরিবার। এখন প্রশাসন ১ সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় ওই পরিবারকে। কিন্তু ওই পরিবার যে টাকা পেয়েছিল তা তাঁরা খরচ করে ফেলেছেন। ৭ দিনের মধ্যে তাঁরা কিভাবে এই টাকা ফেরত দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় ওই পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কৃষ্ণগঞ্জের সর্ণখালি এলাকার বাসিন্দা রণজিৎ বিশ্বাস। পেশায় তিনি বিড়ি শ্রমিক। তাঁর একমাত্র ছেলের সঙ্গে থাকেন না। তিনি ও তাঁর স্ত্রী সুচিত্রা বিশ্বাস আলাদা থাকেন আর তাঁদের ছেলে থাকে পাকা বাড়িতে। তাঁদের দুই শতক জমির ওপর একটি টিনের ঘরে ওই দম্পতির বসবাস। তাঁরা আবাস যোজনায় আবেদন করেছিলেন আর কিছুদিন আগে তাঁরা প্রথম কিস্তির টাকাও পেয়ে যান। প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে তাঁরা ঘর তৈরির কিছু সামগ্রী কিনে তাঁরা ঘর তৈরী করার কাজ শুরু করে দেন।

উন্নয়ন আধিকারিকরা তথ্য যাচাইয়ের জন্য আসে তাঁরা জানতে পারেন ওই বৃদ্ধের পরিবার পাকার বাড়ি রয়েছে। তারপরেই গত ৩১ ডিসেম্বর কৃষ্ণগঞ্জ বিডিও অফিস থেকে তাঁদের কাছে নোটিশ যায় টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। এর ফলে ওই বৃদ্ধ দম্পত্তি দুশ্চিন্তায় পরে যায়। তাঁদের কথায়, ‘প্রথমকিস্তির টাকা পাওয়ার পর আমরা বালি, সিমেন্ট, রড সহ বাড়ি তৈরির সমস্ত জিনিসপত্র কিনে নিয়েছি, এমনকি ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। এখন বিডিও অফিস থেকে নির্দেশ এসেছে ৭ দিনের মধ্যে ৬০হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে। আমরা এখন কিভাবে এই টাকা ফেরত দেব?’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পঞ্চায়েত, তারপর বিডিও অফিস থেকে এবং সবশেষে থানা থেকে ইনকোয়ারি করা হয়।তারপরেই আবাস যোজনার টাকা ঢুকেছে। বাড়ি নির্মাণের যে টাকা ওনারা পেয়েছেন তা তাঁরা খরচ করে ফেলেছেন। ওনারা এখন টাকা কিভাবে ফেরত দেবেন আর সব কিছু যাচাই করে যাওয়ার পর এই ধরণের নির্দেশ কেন? আবাস যোজনার টাকা ফেরতের চিঠি প্রশাসনের