ধর্ষণ নিয়ে শিক্ষকদের কড়া বার্তা আদালতে

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: গণতান্ত্রিক দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। তাঁরা শুধুমাত্র শ্রেণীকক্ষে নয়, বরং শ্রেণীকক্ষের বাইরেও সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের এক ধর্ষণ মামলায় এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিমত প্রকাশিত হয়েছে।

ভবিষ্যৎ নাগরিকদের বৌদ্ধিক উন্নয়নের পাশাপাশি তাঁদের নাগরিক সচেতনতা এবং মূল্যবোধ তৈরিতে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সিং মন্তব্য করেছেন যে, শিক্ষকরা শুধু শিক্ষাদানই করেন না, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ এবং মূল্যবোধ গড়ে তুলতেও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের দায়িত্ব বহুমুখী এবং অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের জীবনে অমূল্য প্রভাব ফেলে। এছাড়া, ফৌজদারি আইনের ১৬১ ও ১৬৪ ধারায় দেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের বয়ান পর্যালোচনা করে আদালত জানিয়েছে, এখানে কোনও পরস্পরবিরোধিতা নেই। এর অর্থ, সংশ্লিষ্ট অভিযোগ মিথ্যা বলে মনে করার কোনও প্রাথমিক কারণ নেই।

এছাড়া, অবলা ও সহায়হীন কিশোরীর প্রতি এমন আচরণ তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনকে চরম সংকটে ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া তাঁর ওপর দীর্ঘকাল ধরে প্রভাব ফেলবে, যা তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া মেয়েদের জন্য দু’ধরনের সংকট তৈরি হয়। প্রথমত, তাঁদের সম্মান এবং নিরাপত্তা বোধ শারীরিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, যা তাঁদেরকে অবিরাম যন্ত্রণায় ভোগায়। দ্বিতীয়ত, আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে গিয়ে তাঁদের একা এবং অপরিচিত পরিবেশে থাকতে হয়। এইসব কারণে আইনি লড়াই তাঁদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে অভিমত ব্যক্ত করেছে যে, এ ধরনের ঘটনা শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও একজন নির্যাতিতার ওপর দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।