নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং পূবালী হাওয়ার প্রভাবে রাজ্যে শীত কার্যত হারিয়ে গিয়েছে। সোমবার রাতের তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.২ ডিগ্রি এবং বুধবার ১৬.৮ ডিগ্রি। অন্যদিকে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সোমবার ২৪.২ ডিগ্রি থেকে মঙ্গলবার ২৬.৭ ডিগ্রি এবং বুধবার ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৪৮ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৩ ডিগ্রি এবং রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়বে। আগামী কয়েক দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে সরস্বতী পুজোর পর থেকে রাত এবং ভোরে হালকা শীতের আমেজ অনুভূত হতে পারে।
রাজ্যে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রায় গোটা রাজ্য ঢেকেছে কুয়াশায়। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে ঘন কুয়াশার প্রভাব বেশি। দৃশ্যমানতা অনেক জায়গায় ৫০ থেকে ১০০ মিটারে নেমে আসতে পারে। কলকাতার কিছু এলাকায় সকালে দৃশ্যমানতা মাত্র ১০০ মিটার বা তারও কমে গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায়, বিশেষত দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় আগামী সপ্তাহের শুরুতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, সোমবার বৃষ্টির সঙ্গে হালকা তুষারপাতও হতে পারে। সিকিমের আবহাওয়াতেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে।
কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি, যা ২৬.৭ ডিগ্রি থেকে বেড়ে ২৭.৪ ডিগ্রি হয়েছে। রাতের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি বেশি, যা বর্তমানে ১৬.৮ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৪৯ থেকে ৮৮ শতাংশের মধ্যে থাকছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উত্তুরে হাওয়ায় বাধা পড়ায় শীতের প্রকোপ কমেছে। রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে ২৬ জানুয়ারি থেকে উত্তুরে হাওয়া ফের বইতে শুরু করবে, যার ফলে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে।