নিউজ পোল ব্যুরো: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিনই বাকি রয়েছে। আগামী বছরে রয়েছে বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন(Assembly Election 2026)। তৃণমূলের লক্ষ্য ২৫০-এর বেশি আসনে জয়ী হওয়া। তাই এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করতে চাইছেন না তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাবতীয় ভুল-ত্রুটি সামলে ময়দানে নেমেছে শাসক দল। তাই তৃণমূলের অন্দরে এখন চরম ব্যস্ততা। পর পর হচ্ছে বৈঠক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে তৃণমূলের মেগা বৈঠক। সেখানে কারা থাকবেন আর কারা থাকবেন না তারই তালিকার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
গোটা রাজ্য সহ দেশের রাজনৈতিক মহলের নজর রয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারির তৃণমূলের মেগা বৈঠকের দিকে। কারণ ওই দিন বড় কোনও বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন উঠছে কারা কারা সেই বৈঠকে ঠাঁই পাবেন। কাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। দলের সমস্ত স্তরের নেতা কর্মীরা দলনেত্রীর বার্তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। নেত্রীর নির্দেশের পরেই তৃণমূল থেকে শীর্ষ স্তরের নেতারা কাজ শুরু করে দেবেন। তবে জানা গিয়েছে এর মধ্যেই জেলায় জেলায় চিঠি দিয়ে একটি বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে রাজ্য তৃণমূলের তরফে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্য পদাধিকারী,সাংসদ ও বিধায়কগণ,জেলা পরিষদ সদস্যগণ,পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহসভাপতি, ব্লক সভাপতি (মাদার, যুব, মহিলা, আইএনটিটিইউসি),অঞ্চল সভাপতি (মাদার),জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যানগণ ও জেলা শাখা সংগঠন সভাপতি (যুব, মহিলা, আইএনটিটিইউসি),কর্পোরেশন ও মিউনিসিপ্যালিটির মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরগণ এবং শাখা সংগঠনের রাজ্য সভাপতিদের বৈঠকে যোগদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: https://thenewspole.com/2025/02/25/abhishek-banerjee-shared-an-indicative-post-without-naming-names/
চিঠিতে জানানো এই সমস্ত পদে থাকা ব্যক্তিরা বৈঠকে থাকতে পারবেন। সেই সঙ্গেই প্রতিটি জেলা সভাপতিদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন নিজেদের জেলার ডেলিগেট লিস্ট তৈরি করেন। সেখানে উক্ত ব্যক্তিদের নাম, পদ, ফোন নম্বর, হোয়াটস অ্যাপ নম্বর লিখে আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঠিয়ে দিতে হবে রাজ্যের সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের কাছে । চিঠিয়ে সকলকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সময়ের আগে স্টেডিয়ামে আসার কথা বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে ঘাসফুল শিবিরের কাছে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এখন এটাই দেখার দলনেত্রী ফের একবার বাংলা নিজেদের দখলে রাখতে কি কৌশল ঠিক করে দেন।