মেলেনি রাজ্যের জবাব, খনিজ তেলের উত্তোলন থমকে

জেলা বিজ্ঞান রাজনীতি রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের একাধিক জায়গায় খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে, এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু রাজ্য সরকারের গাফিলতির কারণে সব জায়গায় এখনও পর্যন্ত খননকার্য শুরু করা যায়নি, এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের আরও অভিযোগ, রাজ্যের তরফে এখনও পিএমএল অর্থাৎ পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ দেওয়া হয়নি। এরফলে রাজ্যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা খনন করতে চেয়ে রাজ্য সরকারকে অনেকবার চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। প্রসঙ্গত, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার রাজ্যে পেট্রোলিয়াম শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চান। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্যকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী।

২০২০ সাল থেকে ১৯টি চিঠি রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, ২০২০ সালেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে খনিজ তেল উত্তোলনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পিএমএলের আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা ওএনজিসি। সূত্রের খবর, ২০২০ সাল থেকে রাজ্য সরকারকে মোট ১৯টি চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এর মধ্যে ১৪টি চিঠি দিয়েছে ওএনজিসি। ৩টি চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। অন্যদিকে, ২টি চিঠি প্রাকৃতিক গ্যাসের ডাইরেক্টরেট জেনারেলের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।

কোনও রাজ্যের মাটির তলায় খনিজ তেল থাকলে কেন্দ্রকে সেখানে খননের জন্য রাজ্যের কাছ থেকে আগে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ বা পিএমএল নিতে হয়। তবে, রাজ্যের তরফে খনন কার্য শুরু করার জন্য গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায়নি বলেই দাবি কেন্দ্রের। ২০১৮ সালেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে বিপুল পরিমানে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি রানাঘাট, কাঁকপুল ও ভুরকুণ্ডার মতো এলাকাতেও খনিজ তেলের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অশোকনগরের মোট ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এবং রাজ্যের অন্যান্য প্রান্ত মিলিয়ে মোট ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখন দেখার বিষয় যে রাজ্য সরকার কত তাড়াতাড়ি এর সুষ্ঠ সমাধান করে।