নিউজ পোল ব্যুরো: এই শীতকালে যেরকম চট করে ঠান্ডা লেগে যায় তেমনি কিছু চোখের সমস্যাও দেখা দেয়। শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের চোখের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। চোখে জ্বালা, চোখ লাল হয়ে ফুলে যাওয়া এবং অনবরত চোখ থেকে জল পড়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডার সময় ‘কনজাঙ্কটিভাইটিসে’র মতো সমস্যা দেখা দেয় চোখে। এটি এমন একটি অবস্থা যার ফলে চোখ লাল হয়ে যায়। এই কনজাঙ্কটিভাইটিস মূলত ‘গোলাপী চোখ’ নামে পরিচিত। এটি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। এটি একটি পাতলা, পরিষ্কার টিস্যু যা চোখের সামনের পৃষ্টকে ঢেকে রাখে।
কনজাঙ্কটিভাইটিস -এর লক্ষণ
1 চোখের পাতা গোলাপি দেখায়।
2.প্রায় হালকা থেকে গুরুতর চুলকানি সৃষ্টি হয়।
3. অতিরিক্ত অশ্রু উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে যার ফলে চোখে জল আসে।
4. উজ্জ্বল আলোতে ফটোফোবিয়া অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
প্রতিকারের উপায় :
প্রথমত বাইরে বেরোলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। অনুরোধ চশমা ব্যবহার করুন যাতে চোখের ভেতরে এবং চোখের চারিদিকে ঢাকা থাকে।
চোখ জ্বালা করলে বারবার চোখে হাত দেবেন না। এতে হাতের ময়লা চোখে গিয়ে যেমন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তেমনি চোখের রক্তজালিকা ছিড়ে গিয়ে বিপদ বাড়তে পারে।
মাস্কারা বা আইলাইনার এড়িয়ে চলুন। ধোয়ার, রাসায়নিক ক্লোরিন থেকে দূরে থাকুন।
চোখ ফুলে গিয়ে ব্যাথা হলে চোখে গরম সেঁক নিন। তাপ লাগলে চোখের রক্তনালির প্রসারণ হবে, রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হলেই ফোলা ভাব কমে যাবে।
একটানা মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। চোখে কে মাঝে মাঝে বিশ্রাম দিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। শরীরে জলশূন্যতা হলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, মরসুমি ফল এবং মাছ খেতে হবে। ছোট মাছ চোখের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে।
এছাড়া যদি মনে হয় চোখ কড়কড় করছে এবং চোখ থেকে আঠালো তরল বের হচ্ছে তাহলে দেরি না করে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।