সরকারি অনুদানের অভাবেই থমকে পড়াশুনা

কলকাতা জেলা রাজ্য শিক্ষা

নিউজ পোল ব্যুরোঃ- বৃহস্পতিবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন সেখানেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসুকে নির্দেশ দেন কোনোভাবেই প্রাথমিকে সেমিস্টার নয়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন সকলকে বিভিন্ন সময়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করা হয়নি, যদি ঠিক সময়ে নির্দেশগুলো পালন করা হতো তাহলে রাজ্যে বর্তমান যে পরিস্থিতি তার উদ্ভব হতো না। বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষার যে পরিস্থিতি তাতে দেরীতে হলেও টনক এবার নড়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তারপরেও এখনও পর্যন্ত এমন অনেক ভগ্নাবস্থায় প্রাথমিক স্কুলগুলো আছে তা বলার নয়। এমনই অনেক বুনিয়াদি স্কুল আছে যা মূলতঃ অনুদানের মাধ্যমেই চলে স্কুলগুলো,বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুরে বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলের যা পরিস্থিতি তাতে আর চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
সরকারি অনুদান ছাড়া বুনিয়াদি শিক্ষাকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। সরকারি অনুদান পাচ্ছেন না স্কুলগুলি। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা পরিষেবা। শিক্ষক থেকে শুরু করে জেলা শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সকলেই একই দাবী করছেন দ্রুত সরকারি অনুদান আসতে হবে স্কুলগুলিতে। না হলে আগামী দিনে বুনিয়াদি শিক্ষা বড়সড় ধাক্কা খাবে।

চলতি আর্থিক বছরে কম্পোজিট গ্র্যান্ড এর টাকা না পাওয়ার ফলে জেলার আনাচে-কানাচে একাধিক প্রাথমিক স্কুলের ভগ্ন প্রায় দশা। জেলাজুড়ে কোন কোন স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি, যার ফলে সেখানে পরিকাঠামগত বা দৈনন্দিন খরচটাও অনেক বেশি। সেই খরচ টানতে গিয়ে শিক্ষকদের নিজেদের পকেট থেকেই টাকা দিতে হচ্ছে বলে দাবি শিক্ষকদের একাংশের।
পাশাপাশি অনেক স্কুলেই দৈনন্দিন খরচা চালানোর মত পরিস্থিতি নেই। যার ফলে চক-ডাস্টার এর মত প্রয়োজনীয় জিনিস সহ ছাত্র-ছাত্রীদের শুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা অথবা স্কুলের বিল্ডিংয়ের জন্য চলা বিদ্যুতের খরচও টানতে পারছে না স্কুলগুলি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা জানিয়েছেন,”সরকারের কোন অনুদানই বিগত প্রায় এক বছরের কাছাকাছি এসে পৌঁছাচ্ছে না। যে কারণে স্কুলের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনও মেটাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। স্কুল বিল্ডিং অপ্রতুলতা থাকায় একই ঘরে কোথাও দুটো ক্লাস কোথাও বা বারান্দায় বসিয়ে ক্লাস করাতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের।”