নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: মানবিকতা ও চিকিৎসা পরিষেবার প্রতি মানুষের আস্থা এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। রানিগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রবিবার সকালে আসানসোলের রানিগঞ্জে এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রসূতি মামনি বাউরীর (৩২) মৃত্যু ঘটে। কার্তিক বাউরীর স্ত্রী মামনি প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে শনিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসক বিজন মুখোপাধ্যায় তাঁর চিকিৎসা করেন এবং বিকেলে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। তবে, অপারেশনের পরেই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা এবং পশ্চিমবঙ্গ বাউরী সমাজ শিক্ষা সমিতির কর্মীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি ছিল, নবজাত শিশুর দায়িত্ব নিতে হবে চিকিৎসক এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে। রাতভর এই উত্তেজনার কারণে পুলিশকে কার্যত হিমসিম খেতে হয়। অবশেষে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, শিশুটিকে ৬ মাসের জন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ নিজেরাই লালন-পালন ও চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে। এর পর আন্দোলন থামে।
অন্যদিকে, শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার শৈলানী জোতের বাসিন্দা বৃষ্টি বিশ্বাসকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রসব যন্ত্রণার কারণে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বলে পরিবারের দাবি। তবে, শুক্রবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃষ্টি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা এই ঘোষণায় স্তম্ভিত হয়ে ওঠেন এবং তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছে নার্সদের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার জেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।