দু’দিনের মধ্যেই অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা

Uncategorized

নিউজ পোল ডেস্ক, কলকাতা: ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে যে সব পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব হয়ে গেছে এ পর্যন্ত তাদের মধ্য়ে ৩০০জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০০রও বেশি পড়ুয়ার অ্য়াকাউন্ট থেকে ওই টাকা গায়েব হয়ে গেছে। বাকিদেরও দুয়েক দিনের মধ্যে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের তরফে রাজ্য সরকারকে এই মর্মে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল থাকার জন্য কলকাতা-সহ ৮০টির বেশি স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা আটকে যায় বলে জানা গেছে। কলকাতা এবং তাঁর পার্শ্ববর্তী এলাকার মোট ৮০টি স্কুলের মোট ৫০০ জন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটেছে।
সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই ট্যাবের টাকা নয়ছয়ের বিষয়টি সামনে আসে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য শিক্ষা দফতর। এই বিষয়ে কলকাতার জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে রিপোর্ট চাওয়া হলে এই অভিযোগ সামনে আসে।
নবান্নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্যাব বা অন্য কোনও জনমুখী প্রকল্পে অর্থ প্রদান করতে গিয়ে যাতে আর কোনও দুর্নীতি বা বেনিয়মের ঘটনা না ঘটে সেজন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সাফল্যকে একটি ‘মডেল’ হিসেবে অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাধারণ মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে এবং এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেনি। শিক্ষা ক্ষেত্রে ট্যাব কেনার টাকার মতো প্রকল্পে যাতে একই ধরনের সাফল্য এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকে তার জন্য শিক্ষা দফতরকে এই মডেল অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ বৈঠকে শিক্ষা দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন যে, শিক্ষা দফতরের ট্যাব প্রদান প্রকল্পে যাতে কোনও ধরনের বেনিয়ম বা দুর্নীতি না ঘটে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। কারণ সরকারের ভাবমূর্তি এই ধরনের প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে তৈরি হয়। তাই যদি কোন প্রকল্পে অর্থ প্রদান প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা সৃষ্টি হয় তার দায় রাজ্য সরকারকেই বহন করতে হয়। রাজ্য সরকার মনে করছে, ট্যাব দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নাম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য পোর্টালে নথিভুক্ত করাটা ঠিক হলেও আধার কার্ড সংযুক্ত না থাকার কারণে অনেক সময় সমস্যা দেখা দিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে যেমন প্রতিটি আবেদনকারী মহিলার আধার কার্ড নম্বর বাধ্যতামূলকভাবে নেওয়া হয়, তেমনই শিক্ষাক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা চালু করলে প্রকল্পের কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।