বাংলায় অস্ত্র পাচারের মূল ঘাঁটি বিহার! তদন্তে বড় সাফল্য কলকাতা পুলিশের

breakingnews অপরাধ দেশ রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: শিয়ালদায় বাজার সংলগ্ন জনবহুল এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারের পর থেকেই আরও বেশি করে প্রশ্ন ওঠে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে। ঘটনার পর থেকে কলকাতা পুলিশের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সাধারণ মানুষ। সম্ভবত সেই সময় থেকেই আরও বেশি তৎপর হয়ে ওঠে কলকাতা পুলিশ। এরপরই শুরু হয় বাংলার পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে অস্ত্রের মূল ঘাটি খোঁজাখুঁজির কাজ। কাজে তৎপরতা বাড়াতে বিশেষ দল গঠন করে কলকাতা পুলিশ এবং পাড়ি দেয় রাজ্যের বাইরে। এবার সেখানেই কলকাতা পুলিশ এসটিএফ পেলো বড় সাফল্য।
আগাগোড়ায় বলা হত বাংলায় অস্ত্রপাচার হয় পাশের রাজ্য বিহার থেকে, আগেও মিলেছিল প্রমাণ। ফের একবার বিহারে পৌঁছে সে কথা প্রমাণ করলো কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার হল বেআইনি অস্ত্র তৈরির ঘাঁটি।
পুলিশের তরফ থেকে বিহার ও মধুবনী জেলার খুতৌনা থানার সাথে একটি যৌথ অভিযান করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয় ‘কিষান অটো পার্টস’ নামে একটি দোকানে। পাশাপাশি অভিযান চালানো হয় খুতৌনা থানার একটি বাজারে।

এরপরেই সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সক্রিয় মিনি বন্দুক। সন্ধান পাওয়া যায় কারখানার, হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় কয়েকজনকে। ইসতেয়াক আলম ও তার ভাই ইফতেকার আলম নামের দুই কুখ্যাত আগ্নেয়াস্ত্র র্যাকেটারের দোকানের মালিককে। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় তাদের সহযোগী রাজকুমার চৌধুরী,বিরজু নামের এক ব্যক্তিকে। জানা যায় দীর্ঘদিন যাবত এই অস্ত্র কারখানায় কাজ করতেন তারা। এদিন কলকাতা পুলিশ মিনি বন্দুক কারখানার মূল পরিকল্পনাকারীকে আটক করেন পুলিশ।
কারখানা থেকে উদ্ধার হয় ২৪টি করে ৭ এমএম পিস্তল বডি ও ব্যারেল, তিনটি ৭ এমএম পিস্তল স্লাইডার,একটি লেদ মেশিন, একটি মিলিং মেশিন, দুটি তুরপুন মেশিন, একটি নাকাল মেশিন, একটি ওয়েল্ডিং মেশিন, ইম্প্রোভাইজড আগ্নেয়াস্ত্র উত্পাদনের জন্য ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম ও কাঁচামাল।

খুতৌনা থানারই তুলানন্দ সাহের বাড়িতে। তাঁর বাড়িতে স্থাপিত আরেকটি মিনি বন্দুকের কারখানা উদ্ধার করা হয়। যেখান থেকে পাওয়া যায় ২৪ পিস ৭ এমএম পিস্তলের গ্রিপ, এক মিলিং মেশিন, একটি নাকাল মেশিন ও একটি ড্রিলিং মেশিন।

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরিতে জড়িয়ে থাকার কারণে গ্রেফতার করা হয় বিহারের মধুবনীর বাসিন্দা ইশতেয়াক আলম (৩৮), ইফতেখার আলম (৩৫),রাজু কুমার সাহ (২২), মুঙ্গেরের বিরজু (30) নামের ব্যক্তিদের। অস্ত্র আইনের অধীনে একটি নির্দিষ্ট মামলা নথিভুক্ত করা হয় তাদের বিরুদ্ধে।