কাজের গুণমানই আসল: আনন্দ মাহিন্দ্রা

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: সপ্তাহে কত ঘন্টা কাজ করা উচিত এবং কিভাবে পার্সোনাল লাইফ ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স করতে হবে এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছে জল্পনা। সপ্তাহের ৯০ ঘন্টা সময়ের বিতর্কের জবাব দিয়েছেন মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রা। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা প্রয়োজন কত ঘন্টা কাজ করা হচ্ছে তা নিয়ে নয়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা।

ফার্স্ট পোস্টের সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে আনন্দকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় থাকার সময় কাটান। আনন্দ উত্তরে জানান, আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সময় ব্যয় করি যাতে কেউ মনে না করেন যে আমি একাকিত্বে ভুগছি। আমার স্ত্রী অসাধারন , আমি আমার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোবাসি। তাছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বেশি ব্যবহার না করলে হয়তো জানতেই পারতাম না। এখান থেকে অনেক মানুষের মতামত জানতে পারি আমি। আনন্দ দিনে কত ঘন্টা কাজ করে? এই প্রশ্নটি সরাসরি করা হয়েছিল মাহিন্দ্রা গ্রুপের প্রধানকে। উত্তরে আনন্দ বলেন, ‘দয়া করে আমাকে এই প্রশ্ন করবেন না কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন করুন আমি কতক্ষণ কাজ করি তা নিয়ে নয়।’ আমাকে এল অ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যান ৯০ ঘণ্টা কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এমনকি রবিবারেও কর্মীদের কাজ করার জন্য অফিস করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি বলেন যদি সবকিছু আবার নিয়ন্ত্রণে থাকত তাহলে আমি আমার কর্মচারীদের রবিবারেও কাজে আসতে বলতাম। আমি নিজেও রবিবারে কাজ করি। কারণ এতক্ষণ বাড়িতে বসে কি করব? কতক্ষণ স্ত্রীর মুখ দেখে থাকব? একজন স্ত্রীই বা কতক্ষণ তার স্বামীর মুখ দেখে থাকবে? তার চেয়ে ভালো অফিসে কাজ করা।এল অ্যান্ডটির এমন মন্তব্যের চেয়ে সমালোচনার এবং কটাক্ষের ঝড় উঠে। তবে কটাক্ষের সুর মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধারের জবাবেও।