জালে মৈপীঠের বাঘ

জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতাঃ- অবশেষে মৈপীঠে বাঘ ধরা পড়েছে ৷ বাঘ পুরোপুরি সুস্থ আছে বলে জানালেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী ৷ ইতিমধ্যে বাঘটির প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে ৷ যে বাঘটি ধরা পড়েছে সেটি পুর্ণ বয়স্কর পুরুষ বাঘ ৷ এই বাঘটিই বারবার লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে বনদফতর ৷ বাঘকে গভীর জঙ্গলে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে বনদফতর ৷ সোমবারই তাঁকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে বনদফতর সুত্রে ৷ বারবার লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে চলে আসার কারণেই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে ৷ বনদফতরের প্রায় ৮০ জনের একটি দল এই অভিযানে ছিল ৷ লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় বাঘের খবর পেলেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান নিশা গোস্বামী ৷
রবিবার গভীর রাতে অবশেষে খাঁচাবন্দি মৈপীঠের বাঘ। বারবারই একই বাঘ জঙ্গল পেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছিল। রবিবার সকালে কিশোরিমোহনপুর এলাকায় বাঘ আসার খবরে নজরদারি চালানোর পর জঙ্গলের চারিদিক ঘিরে দেয় বনদফতরের কর্মীরা। তাতেই বাঘের গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়। ঘেরা জায়গার মধ্যে পাতা হয় খাঁচা। টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ছাগল। রাতেই সেই খাঁচায় অবশেষে বন্দী হল বাঘ। সোমবার বাঘটির শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তারপর তাঁকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদপ্তর সুত্রে জানানো হয়েছে।


এক সপ্তাহের নধ্যে তিন তিনবার বাঘের হানা মৈপীঠে। রবিবার সকালে কিশোরিমোহনপুর এলাকায় ফের দেখা গেল বাঘের পায়ের ছাপ। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদফতর। বাঘের গতিবিধি লক্ষ্য করে জঙ্গলের মধ্যে প্রায় ১ কিলোমিটার মত জায়গা ঘেরা হয়। তারপর খাঁচা পেতে সাফল্য পায় বনদফতর।


৬ই জানুয়ারি সোমবার সকালে কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। ৮ তারিখ বুধবার ভোররাতে বাঘ ফিরে যায় জঙ্গলে। পরেরদিনই ৯ তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে ফের বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায় মৈপীঠের নগেনাবাদে। জাল দিয়ে ঘিরে ফেলায় ১০ তারিখ ভোর রাতে ফের বাঘ ফিরে যায় জঙ্গলে। ১২ তারিখ রবিবার সকালে মৈপীঠের কিশোরিমোহনপুর এলাকায় গঙ্গার ঘাটে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্কিত হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবারও আজমলমারির জঙ্গল থেকে বাঘ এসেছে লোকালয়ে বলে সূতরের খবর। মুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে বাঘ লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসায় আতঙ্ক ছড়ায়। অবশেষে বাঘ খাঁচাবন্দী হওয়ায় স্বস্তিতে এলাকার বাসিন্দারা।