নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আরও বিপাকে এবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নির্মাণ ব্যবসায়ী সন্তু গাঙ্গুলী ঘনিষ্ট একজনের ফোন থেকে একশো উনচল্লিষ্টা ফোনের কললিস্ট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।
সেখান থেকে মাস্টারমাইন্ড পার্থর যোগসূত্র মিলেছে বলে দাবি। সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে জেল বন্দি। প্রাথমিকের পাশাপাশি এস এস সি, নবম, দশম একাদশ, দ্বাদশ, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, অর্থের বিনিময়ে এই সব ক্ষেত্রে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার এক বিশাল যোগসূত্র মিলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নির্মাণ ব্যবসায়ী সন্তু ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তি।
এই উদ্ধার হওয়া কল রেকর্ডিং থেকে দেখা যায় ২০১৪ সালের পর থেকে নিয়মিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে ফোন করে বিভিন্ন নির্দেশ দিতেন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। পাশাপাশি নামের তালিকা ধরে টাকা পাঠানোর নির্দেশ দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই সূত্রে খবর সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় ঘনিষ্ট ওই ব্যক্তির ফোনের সব তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। সন্তু গাঙ্গুলীর কণ্ঠস্বরের নমুনাও এরইমধ্যে সংগ্রহ করেছে সিবিআই। একদিকে ওই ব্যক্তির কণ্ঠস্বর ও সন্তু গঙ্গোপাধ্যয়ের কণ্ঠস্বর মেলানোর জন্য কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়েছে সিবিআই। সন্তু ও ওই তৃতীয় ব্যক্তির একাউন্টে চাকরি বিক্রির টাকা জমা পড়েছিল, যা তিন কোটি টাকারও বেশি এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে। কাছের লোকেদের থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় একটি চক্র গড়ে তোলেন গোটা বাংলা জুড়ে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এই চক্রের মূল পান্ডা হিসেবে দাবি করেছে সিবিআই।
ওই তৃতীয় ব্যক্তি মারফত সন্তু গঙ্গপাধ্যায়ের কাছে চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা পৌঁছে যেত এবং তাদের দুজনের একাউন্টে জমা পড়তো চাকরি বিক্রির টাকা। পরে সেই অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পৌঁছাত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিসে। আর সেখান থেকেই তাদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হতো বলে দাবি করেছে সিবিআই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সিবিআইয়ের এই দাবিতেই উত্তাল এখন রাজ্য রাজনীতি।