নিজস্ব প্রতিনিধি: পৌষ মাসের শেষ ভাগে শীতের দাপট আবারও বেড়েছে। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাতের তাপমাত্রা কমেছে। উত্তুরে হাওয়া এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে শীতের এই জমাট আবহাওয়া তৈরী হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রার সামান্য ওঠানামা হতে পারে, তবে মাঘের শুরুতে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে কমার পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব বাড়বে এবং এর ফলে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে।
কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা ১৩.৬ ডিগ্রি থেকে নেমে হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.৩ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের তুলনায় আড়াই ডিগ্রি নীচে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৫ থেকে ৯৪ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুক্রবার হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে সকালের দিকে কুয়াশা বেশি থাকবে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সোমবার দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের উঁচু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরের কিছু অংশে হালকা কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা।
১০ জানুয়ারি, উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করবে নতুন একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এর ফলে উত্তুরে হাওয়া কিছুটা বাধা পাবে এবং শীতের তীব্রতা কমতে পারে। তবে সোমবার থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আবারও হালকা শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাশাপাশি আসাম সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত তৈরী হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তামিলনাড়ু উপকূলেও দুটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড় এবং উত্তরপ্রদেশে অতিঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই অঞ্চলে শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে গ্রাউন্ড ফ্রস্টের পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশে শীতল দিনের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি এবং কেরল সহ দক্ষিণ ভারতের কিছু জায়গায় শনি ও রবিবার প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।