কুরুক্ষেত্র, ৮ অক্টোবর: চূড়ান্ত ফল ঘোষণা না হলেও হরিয়ানায় কংগ্রেসকে বেশ কিছুটা পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এমনকী ইতিমধ্যে টপকে গিয়েছে ম্যাজিক ফিগারও। রেকর্ড গড়ে তৃতীয়বারের জন্য এ রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি। কংগ্রেসের পালে হাওয়া থাকলেও চুপিসারে জনতার রায় চলে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের দিকেই, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। কৃষক আন্দোলন, জাঠ ভোটব্যাঙ্ক, কুস্তিগিরদের বিক্ষোভ ও সরকার বিরোধী প্রবল হাওয়াকে কাজেই লাগাতে পারল না হাত শিবির। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রেন্ড যা, তাতে দেখা যাচ্ছে গতবারের তুলনায় এবারে বেশি আসন পেতে চলেছে বিজেপি।
যদিও আজ, মঙ্গলবার সকালটা শুরু হয়েছিল অন্যরকমভাবে। পোস্টাল ব্যালট খুলতেই একলাফে অনেকটাই এগিয়ে যায় হাত শিবির। সেই দেখে দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে লাড্ডু বিলি হতে থাকে। কিন্তু ইভিএম খুলতেই তা ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে। বেলা যত গড়িয়েছে, বদলাতে থেকেছে চিত্র। ধীরে ধীরে আসন কমতে থাকে কংগ্রেসের। আর এগিয়ে যায় বিজেপি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হরিয়ানায় কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৬টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৪৮টি আসনে। আইএনএলডি ২টি ও অন্যান্যরা এগিয়ে রয়েছে ৪ আসনে।
হরিয়ানায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪৬টি আসন। ট্রেন্ড অনুযায়ী ম্যাজিক ফিগার পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। যদিও এখনও বহু আসনে গণনা বাকি রয়েছে। তাই আশা রাখছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা। হরিয়ানায় কংগ্রেস ভালো ফল করলেও ক্ষমতাতে আসতে না পারার পিছনে একাধিক কারণ দেখছে রাজনৈতিক মহল। প্রথম, অতিরিক্ত জাঠ ভোটে ভরসা। যা দলীত সহ একাধিক জাতির মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছ। রাজনৈতিক মহলের মত জাঠ ভোটব্যঙ্কের বিরুদ্ধে বিজেপিতে ভোট দিয়েছে দলীত ও অন্য সম্প্রদায়। দুই, একাধিক দল ভোটের ময়দানে নামা। বিশেষ করে আপ ও বিএসপি কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপিরই সুবিধা করেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ নির্বাচন কমিশনের হিসেবে দেখা যাচ্ছে ৩১টি আসনে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের ভোটের ব্যবধান দাঁড়াচ্ছে ১০০০। তৃতীয়, শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে মনোহর লাল খট্টরকে সরিয়ে নওয়াব সিংকে এনে মান বাঁচিয়েছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, হরিয়ানার শহুরে ভোটারদের বেশিরভাগটাই চলে গিয়েছে বিজেপির দিকে। খুব কম সংখ্যকই পেয়েছে কংগ্রেস। তাই হরিয়ানায় শোচনীয় অবস্থা থাকলেও বড় জয় ছিনিয়ে আনার পথে বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও হরিয়ানা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি মোদি কিংবা অমিত শাহ।