নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ঝাড়গ্রামের রেসিডেন্ট চিকিৎসকের মৃত্যু রহস্যের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হল।আজ বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার দীপ্র ভট্টাচার্যের রহস্য মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তে বিচার বিভাগীয় হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হল। আগামী ১৯ নভেম্বর এই মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর ঝাড়গ্রামের একটি হোটেলের ঘর থেকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার দীপ্র মজুমদারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর আগে হোয়াটস অ্যাপে স্ত্রীকে একটি মেসেজও পাঠান তিনি। যা থেকে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ এই ঘটনাকে সুইসাইড বা আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করলেও পরিবারের তরফে এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে এসএসকেএম হাসপাতালের নার্স তাঁর স্ত্রীকে পাঠানো হোয়াটস অ্যাপে ও চিকিৎসকের সহকর্মীদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পাঠানো বার্তায় এই হত্যার নেপথ্যে থ্রেট কালচার রয়েছে বলেই তাঁদের দাবি। পুলিশ এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বললেও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে ঘটনার তদন্তের দাবি জানান হয়েছে। এর পাশাপাশি সব সরকারি হাসপাতালকে এই ধরনের পরিবেশ মুক্ত করতেও আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন জানান হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুর আগে স্ত্রীকে বেশ কিছু মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রীকে নতুন জীবন শুরু করার জন্য বলেন। এ ছাড়াও মেসেজের একটি অংশে উল্লেখ রয়েছে ‘পুরনো ঘা’-এর কথা। যা এখনও রয়ে গেছে বলে মেসেজে দাবি করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে অতীতের কোনও তিক্ত স্মৃতির কথাই কি তিনি ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন মেসেজে?
এমনকি স্ত্রীকে পাঠানো ওই মেসেজে উল্লেখ রয়েছে আরজি করের প্রসঙ্গও। মেসেজের একটি অংশে আরজি করের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “নোংরা পৃথিবী, অবিচার, নোংরামি দেখেও অন্ধ হয়ে থাকে সবাই। এ ভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? এ কোন দুনিয়ায় আমরা বাস করছি? ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না, জেগে থাকতে ইচ্ছে করে না, চারিদিকে শুধু অন্ধকার।”