নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত : ফের মোবাইলে কথা বলতে বলতে ট্রেন লাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু। আর এবার ফোনে কথা বলতে বলতে লাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মহিলা আইনজীবীর। ফোনে তিনি এতটাই মগ্ন ছিলেন যে, ওই লাইনে ট্রেন আসছে তার তিনি খেয়াল করেননি৷ এমনকি ফোনে ব্যস্ত থাকায় ট্রেনের হর্নও শুনতে পাননি।বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, মৃত আইনজীবীর নাম বন্দনা মাইতি (৫৮)। মৃত মহিলা আইনজীবীর বাড়ি দমদমে। তিনি বারাসত আদালতের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন । ঘটনার খবর পেয়ে তাঁর সহকর্মীরা এসে তাঁকে শনাক্ত করেন। পরে, ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় জিআরপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বারাসত স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের লাইন পেরিয়ে নিজের কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় আপ বনগাঁ লোকাল ওই লাইনে এসে পড়ে। ট্রেনটি বারবার হর্ন দেওয়ার পরেও তিনি তা শুনতে পাননি বলেই দাবি রেল সূত্রে। চালক অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। ট্রেনের ধাক্কায় রক্তাক্ত অবস্থায় রেল লাইনের ওপরেই লুটিয়ে পড়েন বন্দনা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বারাসত জিআরপি সূত্রে দাবি, ওই মহিলা ফোন কানে দিয়ে কথা বলতে বলতে লাইন পার হচ্ছিলেন। ফোনে এতটাই তিনি মগ্ন ছিলেন যে, অপরদিক থেকে আসা ট্রেনের হর্নের শব্দও শুনতে পাননি। তার জেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই স্টেশনে ছুটে আসেন বারাসত আদালতের আইনজীবীরা। তাঁরাই প্রথমে বন্দনার দেহটি শনাক্ত করেন। পরে, খবর দেওয়া হয় পরিবারের লোকজনকে। আচমকাই এই মর্মান্তিক ঘটনায় সকলেই হতবাক। তবে এই দুর্ঘটনা আরও একবার দেখিয়ে দিল, রেললাইন পারাপারের সময় ফোনে কথা বলা কতটা বিপজ্জনক।
রেল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জনগণকে বার বার এই বিষয়ে সচেতন করা হয়৷ বিভিন্ন স্টেশনে দিনভর মাইকে ঘোষণাও চলে। তারপরেও তাঁরা সচেতন হননি! এমনকী একজন আইনজীবীর মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তিও সামান্য ভুলের জন্য চরম মাশুল দিতে হল প্রাণের বিনিময়ে। এতটুকু যে হুঁশ কারোর নেই, তা এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট।
