নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুর: ‘চিরদিন বাইক চালিয়ে স্কুটার চালিয়ে সংগঠন করেছি। একসময় সাইকেল নিয়ে গ্রামে গঞ্জে ঘুরেছি সংগঠনকে মজবুত করতে। এখন দল গাড়ি দিয়েছে সরকার নিরাপত্তা রক্ষী দিয়েছে। অনেকদিন বাইক চালাইনি তাই আজ বাইক চালিয়ে কর্মীদের সঙ্গে চা খেতে এলাম।’ প্রাতঃভ্রমণে এসে এই ভাষাতেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কিন্তু বিনা হেলমেটে কেন বাইক চালালেন? সেই প্রশ্ন করতেই সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘সরকারই সেফ নেই তো ড্রাইভ আবার কিসের?’ শনিবার দুর্গাপুরের রাজীব গান্ধী স্মারক ময়দানে (চিত্রালয়ের মাঠ) প্রাতঃভ্রমণ সেরে দলীয় বিধায়কের বুলেট নিয়ে শহর দুর্গাপুরের একাংশে ঘুরলেন। মোবাইলে মিস কল দিয়ে বিজেপির নতুন সদস্য পদ নেওয়ার আর্জি জানালেন সাধারণ মানুষের কাছে। তারপরে সরকারের সমালোচনায় সরব হয়ে বললেন, ‘পুলিশ তোলাবাজি করছে সেই তোলার টাকা পৌঁছে দিচ্ছে তৃণমূল নেতাদের ঘরে, আর যার জন্যই ওদের নেতাদের টার্গেট করেছে এবার দুষ্কৃতীরা। ওই তৃণমূল নেতাদের পরিবার এখন পুলিশি তদন্তের ওপর আস্থা হারিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি চাইছে তদন্তের জন্য!’
ট্যাব কেলেঙ্কারির জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করে বলেন, ‘আয়লা থেকে আবাস, ট্যাবের সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটেই ঢুকেছে। আর টিভির পর্দায় থাকার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাটক শুরু করেছেন। সিট গঠন করে অথবা অতি সক্রিয় হয়ে তদন্তের কথা বলেন।’
লটারি কেলেঙ্কারি নিয়েও এইদিন তিনি বলেন, ‘এই টাকাও তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে, যে দলই এই টাকা নিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করে আইন মোতাবেক শাস্তি দিক।’
বাংলাদেশে সনাতনী হিন্দুদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চলছে ইস্কনের মতো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার কথা বলছে, বলেও সরব হন তিনি। তারপরেই বহরমপুরে দলীয় কর্মসূচির উদ্যেশে রওনা দেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আইন কিভাবে ভাঙতে হয় তা শেখায় বিজেপির মত দল। তাই ওদের মানুষ ভালো চোখে দেখে না। দিলীপবাবুও গো হারা হেরে দুর্গাপুর ছেড়েছিল। তারপরেও মাঝে মাঝে এসে উল্টোপাল্টা কথা বলেন আর আইন ভাঙেন। এই কালচারের জন্য ২০২৬-এ বাংলার মানুষ ওদের বিদায় করে দেবে।’