নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যার বিরুদ্ধে ‘কটূ’ মন্তব্য সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট। ওই মামলায় রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যের কাছে সাত জন আইপিএস অফিসারের নাম চেয়েছে শীর্ষ আদালত। সিবিআইয়ের পরিবর্তে রাজ্য পুলিশের তরফে নতুন করে সিট গঠন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট।
আজ সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়নের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি রয়েছে। এই মামলার শুনানিতে আদালত কী নির্দেশ দেয়, সে দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে দু’জন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে ধৃত মহিলাদের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাঁদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়। ওই আবেদনে সাড়া দিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দেন, ওই দুই মহিলাকে হেফাজতে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করবে। এমনকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করলে যে কোনও অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ কোন হস্তক্ষেপ করেনি।
এরপর সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করে রাজ্য। তাদের বক্তব্য, ওই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত করা যেতে পারে। গত সোমবার সুপ্রীম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এর পাশাপাশি দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ওই ঘটনায় আপাতত সিবিআই তদন্ত করতে পারবে না। রাজ্যের গঠিত সিটও আপাতত নিষ্ক্রিয় থাকবে। রাজ্যকে সাত জন নতুন আইপিএস অফিসারের নাম জমা দিতে হবে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন মহিলা অফিসার থাকবেন।
কারা থাকবেন ওই সাত জনের তালিকায়? তাও সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে। বলা হয়েছে , রাজ্যের বাইরে কাজ করছেন, এমন আইপিএস অফিসারদের নাম দিতে হবে। তবে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের হতে পারবেন।
এই মামলায় সুপ্রীম কোর্ট নতুন করে সিট গঠন করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ মেনে শনিবার সাত আইপিএস অফিসারের নাম রাজ্যের চরফে শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এবার দেখার শীর্ষ আদালত কি রায় দেয়।
