নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় সোনামুখী হাসপাতাল থেকে এক সদ্যোজাত শিশুকে মুখে তুলে পলাতক কুকুর! প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। তবে পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এটা ফেক।
বেশ কিছুদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে ধরা পড়ছে মর্মান্তিক সব ছবি। জেলা হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর। কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন রোগী ও রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। তবে এদিন হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এই সদ্যোজাত শিশুটিকে এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাথায় হাত আত্মীয় – পরিজনদের।
অপরদিকে, এই সদ্যোজাতকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ছবি ‘ফেক’ বলে দাবি করল স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার উচ্চ পদস্থ একাধিক স্বাস্থ্য আধিকারিক সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান। হাসপাতালের অবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পরে তাঁরা জানান, সোনামুখী হাসপাতালের যে ছবি বলে চালানো হচ্ছে, তা আসলে ‘ভুয়ো’। ওই মহিলা এক মাসের গর্ভবতী ছিলেন। মাত্র এক মাসের গর্ভাবস্থায় শিশু ভ্রূণের আকার অত বড় হওয়া সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার সকালে একটি মর্মান্তিক ছবি প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যায়, একটি কুকুর মুখে করে অপরিণত একটি শিশুকে নিয়ে যাচ্ছে! তাতেই শোরগোল পড়ে যায়। এরপর প্রিয়া রায় নামে এক মহিলার পরিবার দাবি করেন, এই অপরিণত শিশুটি তাঁদেরই। জানা যায়, প্রিয়া রায় নামের ওই প্রসূতি সোমবার রাতে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর পরিবারের দাবি, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর ইউরিন টেস্টের কথা বললে ওই প্রসূতি মা ইউরিন সংগ্রহের জন্য বাথরুমে যান। সেখানেই প্রিয়া একটি অপরিণত শিশুর জন্ম দেন বলে দাবি করে পরিবার। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন কর্তব্যরত নার্সদের ডাকলেও নার্সরা আসতে অনেক দেরি করেন। পরিবারের অভিযোগ, পরে ওই মাকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে গেলেও সদ্যোজাত সেখানেই পড়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরে পরিবারের লোকজন ওই অপরিণত শিশুকে দেখতে এলে দেখা যায় সেখানে আর তা নেই। আর তারপরেই এই ছবি প্রকাশ্যে আসলে তাতেই শোরগোল পড়ে যায়।