নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: এখনই বিয়ে করতে হবে বলে প্রেমিককে চাপ দিচ্ছিল কোন্নগরের এক তরুণী। আর তারপরেই রহস্যজনক ভাবে আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল তাঁর! কোন্নগর ইন্দিরা গান্ধী রোডের আবাসনের চারতলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এই তরুণীর! দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্নান করার পর পাখি নিয়ে আবাসনের ছাদের পাঁচিলে বসে ছিল বছর ১৮ দীপাঞ্জনা গোস্বামী। হঠাৎই কোনোভাবে চারতলার ছাদ থেকে তাকে নিচের রাস্তায় পড়ে যেতে দেখেন স্থানীয়রা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান। পরে তার মৃতদেহ উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তরুণীর বাবা সুজন গোস্বামী জানান, ‘প্রতিদিনের মতোই আজকেও দুপুরে স্নান করার পর ছাদে গিয়ে ছাদের পাঁচিলে বসেছিল দীপাঞ্জনা। সেই সময় তার সঙ্গে কথাও হয়েছিল। পাঁচিলে বসতে বারণ করা হয়। তাকে নিচে যেতে বলা হলেও সে জানায় কিছুক্ষণের মধ্যেই সে নিচে ফ্ল্যাটে যাচ্ছে। তারপর কোনভাবে সে ওপর থেকে ফ্ল্যাটের সামনের রাস্তায় পড়ে যায়। এটা দুর্ঘটনা বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে হয়।’
তরুণীর মা জানান, ‘একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মেয়ের। মেয়ে এখনই বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। ছেলেটি বলেছিল দু’বছর সময় দাও। আজ ছাদে ফোনে ওর সঙ্গে কিছু কথাবার্তা হয়। তারপরই এই ঘটনা! ছেলেটা খুব ভালো ওর কোনও দোষ নেই।’
কিভাবে ওই ছাত্রী পড়ে গেল, এটা নিছক দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তরুণীর পরিবার। তরুণীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাতেও।
এই বিষয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি ছাদের রেলিংয়ে বসে কথা বলছিল। মোবাইলে কথা বলার সময় ছাদে আর কেউ ছিল না। সে একাই ছিল। তাঁদের বাড়ির লোকেরও সেভাবে কারুর প্রতি কোন অভিযোগ জানাননি। ছাদ থেকে পরেই মারা গেছে। আগামীকাল তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।