নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লিঃ আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে এবার সুপ্রীম কোর্টের হস্তক্ষেপ, বিপদ আটকাতে কড়া হুঁশিয়ারি। আচমকাই অতি ভয়ানক আবহাওয়ার কবলে দেশ। বিজ্ঞানের ভাষায় অতি ভয়ানক মাত্রা ছাড়াল দেশ। কিন্তু কি এই অতি ভয়ানক মাত্রা? কিভাবেই বা সেই মাত্রা ছাড়াল ভারত? জানেন কি?
বিজ্ঞানের ভাষায় বাতাসের গুণমান সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে হলে তা ‘ভাল’ বলে ধরে নেওয়া হয়। গুণমান সূচক ৫১ থেকে ১০০ হলে তা হয় ‘সন্তোষজনক’। আর বাতাসের গুণমান সূচক ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচিত হয়। গুণমান সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ হলে ‘খুব খারাপ’, ৪০১ থেকে ৪৫০ ‘ভয়ানক’ এবং ৪৫০-এর বেশি হলে ‘অতি ভয়ানক’ ধরা হয়।
মঙ্গলবার সকালে আচমকাই আবহাওয়ায় এক অন্য রেকর্ড গড়ল ভারতের রাজধানী দিল্লি। আজ সকালে দিল্লি ঢাকল ধোঁয়ার চাদরে। একই অবস্থা খেয়াল করা গেল আশেপাশ সংলগ্ন এলাকাতেও। সকালে বাতাসের গুনমান সূচক ছিল প্রায় ৫০০,যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। সকালে দিল্লির বাতাসে গুনমান সূচক ছিল ৪৫০, যা আপাতত গোটা মরশুমের সর্বোচ্চ। বিজ্ঞানের ভাষায় বাতাসের গুণমান সূচক ৪৫০ এর বেশি মাত্রা অতিক্রম করলেই তাকে বলা হয় ভয়ানক এবং এই মাত্রাই এবার ছাড়াল দিল্লি। এর আগেও ভিন্ন কারণে একাধিকবার দিল্লির আবহাওয়া ফেলেছিল চিন্তার ভাঁজ। বিশেষত দূষণের কারণে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয় দিল্লিতে। এবার দূষণ মোকাবিলায় আরও একাধিক কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে এরই মধ্যে। বিশেষত চালু করা হচ্ছে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ। চালু হচ্ছে চতুর্থ স্তরের (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৪ বা জিআরএপি ৪)।
দেশের সর্বোচ্চ আলাদালতের তরফ থেকে এদিন বলা হয় আদালতের অনুমতি ছাড়া এখন থেকে আর শিথিল করা যাবে না কোনও নিয়ন্ত্রণবিধি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণবিধি জারি করা হয়েছে সকাল থেকেই, সেই মতই এগোচ্ছে কাজ। কিন্তু কড়া পদক্ষেপের পরেও কিছুতেই কমছে না চিন্তা, স্বাভাবিক হচ্ছে না বাতাসের গুণমান। বরং আরও ভয়ানক পর্যায়ে ক্রমশই এগোচ্ছে আবহাওয়া। রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন আনন্দ বিহার, অশোক বিহার, ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম, জাহাঙ্গিরপুরী-সহ বেশির ভাগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বাতাসের গুণমানের সূচক এরই মধ্যে ৫০০ অতিক্রম করে গেছে। এদিন বাতাসের গুণমান সূচক সবচেয়ে কম ছিল দ্বারকায় যার মাত্রা ছিল প্রায় ৪৮০, যেটিও অতি ভয়ানক।