নিজস্ব প্রতিনিধি, ভুবনেশ্বর : ফের এক অমানবিক নির্যাতনের সাক্ষী হল ওড়িশা। আদিবাসী মহিলাকে অমানবিক অত্যাচার। শুধুমাত্র প্রতিবাদ করার অপরাধেই চলে বেধড়ক মারধর সঙ্গে অত্যাচার। এমনকি প্রতিবাদের জন্য মহিলার মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মল! শুরু হয় নির্মম হেনস্থা। দেশ জুড়ে উঠছে নিন্দার ঝড়।
জানা যায়, নিজের চাষের জমিতে কষ্টের ফসলকে নষ্ট হতে দেখে আদিবাসী যুবতী প্রতিবাদ করেন। এরপরই শুরু হয় বচসা শুরু। জাত, সম্প্রদায় তুলে গালিগালাজ, মারধর করা হয় যুবতীকে। এমনকী, তাঁর মুখে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মল। ওড়িশার বোলাঙ্গীর জেলার এই ঘটনায় এরই মধ্যে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যাকে ঘিরে এরইমধ্যে গোটা দেশের পাশাপাশি তোলপাড় এ রাজ্যের রাজনীতি। গোটা দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা ও আদিবাসী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধীরা। কিন্তু ভিনরাজের ঘটনায় কেন এত তোলপাড়? জানেন কি? সে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গেলে বলাবাহুল্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করতেই হয়।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপতি মুর্মু, যিনি নিজেও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। একসময় রাষ্ট্রপতির পদে তাঁর আগমনকে গোটা দেশ সাধুবাদ জানিয়েছিল ঠিক এই কারণেই। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের হয়েও তিনি দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার আসনে বসায় সাধুবাদ জানায় গোটা দেশের জনতা। আর আজ ঠিক তার উল্টো ঘটনার নজির মিললো ওড়িশায়। তাই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আরও বেশি নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা দেশে। প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তবে কি স্বাধীন দেশে এখনও পিছিয়ে সেই পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোই? আরও বেশি করে উঠছে প্রশ্ন কারণ সম্প্রতি বাংলায় ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। তার পরে তাঁর নিজের রাজ্যেই যেখানে এখন বিজেপিই শাসন ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে এই ঘটনা ঘটায় তাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তবে গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মন্তব্য করেননি রাষ্ট্রপতি সহ দেশের একাধিক শাসক দলের শীর্ষ নেতা।