নিজস্ব প্রতিনিধি: আরজি করে চিকিৎসক-ছাত্রী খুন, ধর্ষণের পর সামনে উঠে এসেছে একের পর এক মর্মান্তিক ধর্ষণের ঘটনা। ক্রমাগত বেড়েই চলেছে এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনা। পরিসংখ্যান বলছে, গত দু’বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা।আর এই পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে আরেকটি চাঞ্চল্যকর বিষয়। জানা গেছে, পরিবারে কিংবা পরিচিতদের মাধ্যমেই বেশির ভাগ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
এছাড়াও প্রতিবেশীদের হাতে শিশুদের একটি বড় অংশ ধর্ষিত হয় বলে জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের তথ্য থেকেই জানা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত শিশুরা বেশি ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সব শিশুদের একা থাকা বা খেলার সময় খাবারের লোভ বা খেলনার লোভ দেখিয়েই পরিচিতরা ধর্ষণ করছে। এর পাশাপাশি পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, কিশোরীদের ধর্ষণের প্রসঙ্গ। এক্ষেত্রে কিশোরীরা ধর্যণের শিকার হচ্ছে বন্ধু, কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে যাওয়ার পথে ও পরিবারে সদস্যদের দ্বারা।চিকিৎসকদের একাংশের মন্তব্য, শিশুদের ওপর অত্যাচার ও ধর্ষণ রুখতে আগে ‘পিডোফিলিয়া’কে চেনা প্রয়োজন। একে শুধুই রোগ বলে দিলে কিন্তু অপরাধ অনেকটাই লঘু হয়ে যায়। বদলে এটি একটি অন্য ধরনের যৌন বিকার বলে ধরা ভাল। তাই সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। শিশুদের ছোতবেলা থেকেই স্কুল শিক্ষার মধ্যেই ‘গুড টাচ ও ব্যাড টাচ’ সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে দিতে হবে। শুধু তাই নয় মা-বাবা ও পরিবারের বড়দের পাশাপাশি প্রশাসনকেও এই বিষয়টি আরও কড়া নজরে দেখতে হবে বলে এই সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে।