রাজ্য পুলিশের বদলিতে এবার নতুন নিয়ম

কলকাতা জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: রাজ্য পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন ওঠে এটা কোনও নতুন ব্যাপার নয়। তবে এবার পুলিশ অফিসারদের বদলিতে আসতে চলেছে নতুন নিয়ম। রাজ্য পুলিশের বদলিতে স্বচ্ছতাকে বাড়াতেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে বলেই সূত্রের খবর।

যখনই কোন পুলিশ অফিসারদের বদলির নির্দেশ আসবে তখনই কোথাও পোস্টিং পাওয়ার জন্য একা অথবা দলবদ্ধ ভাবে সদর দফতরের ঊর্দ্ধতন কর্তাদের কাছে গিয়ে তদ্বির করলেই সেটা শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল হবে। এই গোটা প্রক্রিয়াটাই করা হচ্ছে অনলাইনে, ফলে আগামী দিনে গোটা বিষয়টার মধ্যে অনেকটাই স্বচ্ছতা আসবে বলেই দাবি করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আসলে গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য পুলিশে প্রচুর রদবদল হয়েছিল। তারপর গত সেপ্টেম্বর মাসেই ওই সব পুলিশের আত্মীয়দের একাংশ সরাসরি চলে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনের সামনে। সেখানে গিয়েই তাঁরা তদ্বির শুরু করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। এবার তাই রাজ্য পুলিশের বদলির এই প্রক্রিয়াকে আরও বেশি স্বচ্ছ করে তুলতেই জারি করা হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন নির্দেশিকা। গত ২৫ অক্টোবরেও একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ কর্মীদের বদলির সংক্রান্ত বেশ কিছু নতুন নিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এখানে বলা হয়েছে বদলির জন্য আগ্রহী পুলিশ কর্মীরা ইএইচআরএমএস পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসেই একটি নতুন উইন্ডো খোলা হবে। এই উইন্ডো খোলার ৩০ দিনের মধ্য়েই আবেদন করতে হবে। প্রতিবছর মার্চ বা এপ্রিল মাসে জেনারেল ট্রান্সফার করা হবে। তার জন্য ওই নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে বদলির জন্য আবেদন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত একটাই ওই নির্দিষ্ট আবেদনকারীকে বদলি করা যাবে কিনা তা নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার বা ইউনিট হেড একটি নির্দিষ্ট কমেন্ট লিখবেন। দশদিনের মধ্য়েই তিনি এই মতামত জানাবেন। এরপর সেই মতামতের ওপর ভিত্তি করেই রেঞ্জ আইজি বা ডিআইজি বদলি সংক্রান্ত বিষয়গুলি কার্যকর করবেন। এছাড়াও যদি কারও কোন বিশেষ কারণে বদলির প্রয়োজন থাকে তাহলে তাঁকে সেক্ষেত্রে তাঁকে EHRMS পোর্টালে আবেদন করতে হবে। এই পোর্টালে তাঁকে বদলির পেছনে নির্দিষ্ট যুক্তি উল্লেখ করতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে নির্দিষ্ট নথিও পেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে সাত দিনের মধ্যেই তাঁর ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মতামত দিয়ে সেই সব নথি আসবে পুলিশ সুপার বা ইউনিট হেডের কাছে। সেখান থেকেই দশদিনের মধ্যে তিনি মতামত দেবেন। তারপর সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট কমিটির কাছে গোটা বিষয়টি পাঠানো হবে। সেই কমিটিই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে সূত্রের খবর।