নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার জন্য বড় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে বৈষ্ণো দেবীর দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। আর তার জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হচ্ছে রোপওয়ে। মূলতঃ কাটরা শহর থেকে সাঞ্জিছটকে সংযোগ করা হবে এই রোপওয়ের মাধ্যমে। বৈষ্ণোদেবী বোর্ডের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রোপওয়ে চালু হয়ে যাবে। বোর্ডের সিইও আনশুল গর্গ জানান, রোপওয়ে একটি নিরাপদ, দ্রুত এবং আরও সুবিধাজনক পরিবহণ। ৬-৭ ঘণ্টা সময় বাঁচিয়ে দেবে। এটি তীর্থযাত্রীদের মাত্র ছয় মিনিটে কঠিন যাত্রাপথ সম্পূর্ণ করতে সক্ষম করবে। একবার চালু হলে এই সুবিধাটি প্রতিদিন হাজার হাজার তীর্থযাত্রী পাবেন। ফলে, এতদিনের ঐতিহ্যবাহী ট্রেকিং রুটে যানজট কমিয়ে সবার জন্য একটি ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। কাটরা থেকে সাঞ্জিছট পর্যন্ত রোপওয়ে করে ভক্তরা যেতে পারবেন। তারপরে মন্দিরে যেতে হাঁটা পথে ৩০-৪৫ মিনিট লাগবে। এটি প্রতি ঘন্টায় এক হাজার যাত্রী পরিবহণে সক্ষম। রোপওয়ে প্রকল্পটি গুরগাঁও-ভিত্তিক জিআর ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড দ্বারা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে কাজ করবে।
জানা গিয়েছে, এই বছরের শুরুর দিকে বোর্ডের সঙ্গে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করার পর কোম্পানিটি গত মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। এই বছর ৮৬ লক্ষেরও বেশি ভক্ত ইতিমধ্যে পবিত্র মন্দির পরিদর্শন করেছেন। সেই সংখ্যা এককোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই তুলনায় গত বছর ৯৫ লক্ষের বেশি পুণ্যার্থী এসেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে, বোর্ড তীর্থযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে। যেমন মাতা বৈষ্ণো দেবী ভবনে একটি স্কাইওয়াক, উন্নত রান্নাঘর এবং রেলওয়ে নিবন্ধন কেন্দ্র। উপরন্তু, কাটরাতে একটি আধুনিক কল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখান থেকে সারা ভারত এবং বিদেশে তীর্থযাত্রীদের থেকে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার কল নেওয়া হয়।