নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: NGT’র নির্দেশ কার্যকর করতে মন্দারমণির সমুদ্রের তীর থেকে হোটেল রিসোর্ট ভাঙার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দেওয়া নোটিস স্থগিত করলো কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে মামলার সব পক্ষকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ফলে আপাতত স্বস্তিতে ওই হোটেল মালিকরা।
জাতীয় গ্রীন ট্রাইবুন্যালের তরফে মন্দারমণির এই সব হোটেল রিসোর্টকে বেআইনী বলে ঘোষণা করে তা ভেঙে ফেলার স্বপক্ষে যা বলা হয়েছিল তা হল,
১) জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল একটি জয়েন্ট কমিটি গঠন করে।
২) জয়েন্ট কমিটির ওপরেই বিচারের প্রক্রিয়া ছেড়ে দেয় ট্রাইব্যুনাল।
৩) সেই জয়েন্ট কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় মন্দারমণিতে ১৪০ টি হোটেল ভেঙে ফেলার।
৪) জয়েন্ট কমিটির সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১ নভেম্বর জেলাশাসক বিজ্ঞপ্তি জারি করেন ২০ নভেম্বর ওই হোটেলগুলিকে ভেঙে ফেলা হবে।
৫) সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেই হোটেল মালিকেরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
হোটেল মালিকদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন
১) একটি মামলার বিচার প্রক্রিয়া আদালত নিজেই করে। সেই বিচার প্রক্রিয়া অন্য কাউকে ন্যস্ত করে না আদালত।
২) এক্ষেত্রে গ্রিন ট্রাইবুনাল কি করে জয়েন্ট কমিটির ওপরে বিচার প্রক্রিয়া ছেড়ে দিল? এটা আইনত সিদ্ধ নয়।
৩) গ্রীন ট্রাইবুনালের গঠন প্রক্রিয়াও সঠিক নয়। ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ায় যে সংখ্যক বিচারকের সদস্য থাকা উচিৎ তা ছিল না। তাই জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের এই নির্দেশ কখনই গ্রাহ্য নয়।
৪) ফলে গ্রীন ট্রাইবুনালের গঠিত জয়েন কমিটির সিদ্ধান্ত আইন সিদ্ধ নয়।