নিজস্ব প্রতিনিধি, বলাগড়: চারিদিকে চলছে অরাজকতা। শিশু থেকে বৃদ্ধ অত্যাচারিত হতে কেউই বাদ পড়ছে না! শনিবার সকালে বাড়ি থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়েছিল পাঁচ বছরের স্বর্ণাভ সাহা। অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাকে। পুলিশ ড্রোন উড়িয়ে, স্নিফার ডগ নিয়ে এসে খোঁজ চালায়। গতকাল রবিবার ভোরে বাড়িরই শৌচালয়ে দেহ উদ্ধার হয় ওই শিশুটির।
গতকাল রবিবারেই শিশুর ঠাকুরদা শম্ভু সাহা, ঠাকুমা চায়না সাহা, জেঠিমা টুম্পা মজুমদার সাহাকে গ্রেফতার করে বলাগড় থানার পুলিশ। সোমবার তাঁদের আদালতে পেশ করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শিশুকে তার দাদু খুন করে লুকিয়ে রেখেছিল। পরে সুযোগ বুঝে পুলিশের নজর এড়িয়ে তাকে শৌচালয়ে ফেলে দেয়। সবাই যখন খুঁজছে তখন ঘন্টা দুয়েকের জন্য ঠাকুরদা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ফিরে এসে জানায় তান্ত্রিকের কাছে গিয়েছিল নাতি কোথায় আছে জানার জন্য! পুলিশ তিনজনকে দীর্ঘক্ণ জেরা করার পর গ্রেফতার করে।
শিশুর পরিবার দাবি, শম্ভু বদমেজাজী। ছোটো বৌমাকে পছন্দ করতেন না। নাতিকে দেখতে পারত না। নিজের স্ত্রীকেও মারধর করতেন। তবে আদালতে যাওয়ার পথে তিনজনই জানায় তাঁরা খুন করেননি।
ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র বলেন, ‘পুলিশি জেরায় শিশুর দাদু স্বীকার করে নেন খুনের কথা। তবে কোথায় কিভাবে খুন করেছে, তা এখনও জানা যায়নি। বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে।