নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত কয়েক মাস আগের বন্যায় অনেক পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে চাষিদের। ফলন হয়েছে কম। তাই শীতের আমেজে বাজারে সবজির দাম ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। একদিকে বৃদ্ধি হচ্ছে সবজির দাম অপরদিকে সরকারি নির্দেশের পরেও হিমঘর থেকে নির্ধারিত পরিমাণের তুলনায় বেশি আলু বাইরে বেরিয়েছে। এরই মধ্যে হালকা শীতের আমেজ পড়লেও নতুন আলু বাজারে আসতে আরও প্রায় ৫০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। ফলে নিত্য চাহিদা মেটাতে এখনকার মজুত আলু আর বাইরে পাঠালে একদমই চলবে না। প্রধানত, রাজ্যে আলুর নিত্য চাহিদা মিটলে তবেই অন্যত্র আলু সরবরাহ করা যেতে পারে, এমনই নির্দেশ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সেই নিয়ম, নির্দেশ সঠিক ভাবে পাল হচ্ছে কী? বাজারের মূল্যবৃদ্ধিই তার প্রমাণ। অপরদিকে, জলপাইগুড়িতে হিমঘরে বদলে যাচ্ছে আলুর বীজ! বস্তা বদলে রাখা হয়েছে খারাপ মানের বীজ। হিমঘর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগে কৃষি বিভাগেরই এক আধিকারিকের। মানতে নারাজ হিমঘর কর্তৃপক্ষ। এর আগেও হিমঘর থেকে বীজ বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে দাম দিয়েও খারাপ বীজ কিনতে হয় কৃষকদের। আবার উপরন্ত ফলনও কম হয়। তখন আসরে নামে কালোবাজারিরা। এর জেরে বাজারে আলুর দাম চড়ে। মাথায় হাত পড়ে কৃষক থেকে সাধারণ মানুষের। সম্প্রতি ২৬ টাকা কেজি দরে হিমঘর থেকে আলু বাজারে ছাড়ার বির্দেশ দি্য়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তার সুফল এখনও বাজারে মেলেনি। খোলা বাজারে এখনও জ্যোতি আলু ৩০-৩২ টাকা কোথাও আবার ৩৬-৪০ টাকা ও চন্দ্রমুখী আলু ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টাস্ক ফোর্সও নীরব। এখন দেখার রাজ্য সরকার বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বাজারে বাঙালির নিত্যদিনের সঙ্গী আলুর দাম কতটা কমে? আর তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী।