নিউজ পোল ব্যুরো, ধূপগুড়ি ও কোতুলপুর : একই দিনে রাজ্যের দুই জেলায় দুটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। গুরুতর জখম আরও ৩ ব্যক্তি।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির খলাইগ্রাম এলাকায় ৩১ নং জাতীয় সড়কের ওপর। অপর ঘটনাটি বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার রায়বাঘিনি সংলগ্ন ২ নম্বর রাজ্য সড়কে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল শনিবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ ধূপগুড়ির ৩১ নং জাতীয় সড়কে দ্রুত গতিতে আসা একটি লরি একটি বাইকে সজোরে ধাক্কা মেরে পালাতে গিয়ে ফুটপাতে থাকা দুই শ্রমিকেও পিষে দেয়।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক আরোহী প্রকাশ সূত্র ধরের। তাঁর বাড়ি ফালাকাটার মিলরোডে। জখম শ্রমিকদের নাম নারায়ণ সরকার ও আনন্দ রায়। তাঁরা দু’জনেই খলাইগ্রাম এলাকার বিদেশ প্লাইউড কারখানার শ্রমিক। জখমদের প্রথমে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
অপরদিকে, দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার রায়বাঘিনি সংলগ্ন ২ নম্বর রাজ্য সড়কে। এই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জখম আরও ১জন। মৃত ব্যক্তির নাম সাহেব মাঝি। তাঁর বাড়ি ইন্দাস থানার বাজিতপুর গ্রামে। জখম ব্যক্তির নাম সুমন্ত মাঝি। তাঁকে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজিতপুরের বাসিন্দা সাহেব মাঝি তাঁর বন্ধুকে নিয়ে একটি বাইকে করে ব্যবসার কাজে কোতুলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় কোতুলপুর থানার রায়বাঘিনি সংলগ্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরির পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে সাহেব মাঝির বাইক। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দু’জনেই। তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাহেব মাঝিকে মৃত বলে জানান।