নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ আত্মঘাতী যুবতী! দেহ আটকে এলাকাবাসী। পুলিশের প্রতি তীব্র ক্ষোভে ফেটে পরল আপামর জনতা। ঘটনাটি লেকটাউন দক্ষিণ দাড়ি এলাকার। বাবার চিন্তায় আত্মঘাতী মেয়ে, এলাকাবাসীর অভিযোগের তীর পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত কালীপুজোর রাতে, এলাকাবাসীর অভিযোগ পুলিশের অপমানজনক কথা সহ্য করতে না পেরে এবং বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন যুবতী। অবশেষে মানসিক চাপ থেকেই আত্মহত্যার পদক্ষেপ বলে দাবি পরিবার সহ স্থানীয়দের।
প্রসঙ্গত, কালীপুজোর রাতে বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে বচসায় জড়ায় দুই পরিবার। দুই পরিবারের এই বচসার সময় উপস্থিত ছিলেন বেশকিছু এলাকাবাসী, তাঁদের দাবি ঘটনায় বিবাদ হলেও তার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে খুব একটা উত্তপ্ত হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে যুবতীর বাবার ওপর অভিযোগ আসে শ্লীলতাহানির।এরপরেই বিরজু সাউকে গ্রেফতার করে লেকটাউন থানার পুলিশ। দু’মাস ধরে দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। শ্লীলতাহানির অভিযোগে পরের দিনেই গ্রেফতার করা হয় যুবতীর বাবাকে আর তারপর থেকেই ঘটনার সূত্রপাত বলে দাবি স্থানীয়দের।
এরপরে একাধিকবার সাক্ষী নিয়ে থানায় যাওয়া হলেও মৃত যুবতীর বাবাকে ছাড়তে রাজি হয়নি পুলিশ। উল্টে সাক্ষীদের বিরুদ্ধে কেস দেওয়ার হুমকি দিয়েছে পুলিশ, এমনই অভিযোগ করছেন বেশ কিছু স্থানীয়রা। এমনকি আরেক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তাঁরা। যুবতীর মৃত্যুর পেছনেও সরাসরি পুলিশকেই দায়ী করছেন তাঁরা। ঘটনার তদন্ত হলে যুবতী হয়তো আজ জীবিত হতো এমন দাবি করছেন যুবতীর মা সহ আরও অনেকেই। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।
অভিযোগ অপমানে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বিরজু সাউ এর ১২ বছরের মেয়ে। সেই কারণে আজকে স্কুল থেকে শেষ পরীক্ষা দিয়ে এসে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত পুলিশ ওই ঘটনার সঠিক তদন্ত করবে ততক্ষণ তাঁরা দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাবেন। যখন লেকটাউন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী দেহ উদ্ধার করতে যায় তখন আরও উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
তাই স্বাভাবিকভাবেই সেই ক্ষোভ থেকে মৃতদেহ পুলিশের হাতে কিছুতেই তুলে না দেওয়ার জন্য এদিন বিক্ষোভে শামিল হন এলাকাবাসী। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশকে ঘিরে ধরে তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন এদিন।