নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাতির সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন। বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় বিধানসভায় আজ বুধবার মর্মান্তিক এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বনমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মধ্যে এই ধরণের প্রবণতা বাড়ছে। শুধুমাত্র নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করে বিপদ এড়ানো যাবে না। মানুষকে সচেতন হতে হবে।’
ওইদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বন দফতরের তরফে বারবার মাইকিং করে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বহু মানুষই সেই সতর্কতা অমান্য করে জঙ্গলে প্রবেশ করে। মোবাইলে ছবি তোলা, ভিডিও রেকর্ড করা, এমনকি ফেসবুক লাইভ করতেও দেখা যায় অনেককে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বন্যপ্রাণীদের স্বাভাবিক গতিপথে কোনওভাবে সাধারণ মানুষের আসা উচিত নয়। তাদের কোনওভাবেই জ্বালাতন করা উচিৎ নয়।’ বিধানসভায় মন্ত্রী এও জানিয়েছেন, সাধারণত হাতির হানায় কেউ আহত হলে তার ক্ষতিপূরণ বন দফতরের তরফ থেকেই দেওয়া হয় এবং চিকিৎসাও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করানো হয়। এক্ষেত্রে হাতির আক্রমণে আহত ব্যক্তির চিকিৎসা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে করানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দিন তিনেক আগেই হাতি দেখার অতিরিক্ত উৎসাহ আর কৌতূহলে কেশিয়াড়িতে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন শাসক এবং বিরোধীদলের বিধায়ক হাতির হানায় ফসলের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এদিন সেই বিষয়টির জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, হাতির হানায় ফসলের ক্ষতি হলে বিঘা প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দেওয়া হয়। এই ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে বনদফতর। এই বিষয়ে আগামীতে কোনও সিদ্ধান্ত হলে তা বিধানসভাকে জানানো হবে।