পানীয় জলের অপচয় ও অপব্যবহার রুখতে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর

breakingnews কলকাতা রাজনীতি রাজ্য শহর স্বাস্থ্য

পানীয় জলের বেআইনি ব্যবহার নিয়ে এরই মধ্যে ৪০০র বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ জানানোর জন্য দু’টি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। নম্বর দু’টি হল, ৮৯০২০৫২২২২২ এবং ৮৯০২০৬৬৬৬৬.

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পানীয় জলের অপচয় এবং অপব্যবহার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের প্রেক্ষিতে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। বুধবার বিধানসভায় বিভাগীয় মন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, পানীয় জলের বেআইনি ব্যবহার নিয়ে এরই মধ্যে ৪০০র বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ জানানোর জন্য দু’টি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। 

বিধানসভার প্রশ্ন উত্তর পর্বে তিনি জানান, জল অপচয় বন্ধ করতে সরকার সচেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে নজর রাখছেন। অনেকে পানীয় জলকে ব্যবসায়ীক কাজে ব্যবহার করে অপচয় করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, আজ সকাল পর্যন্ত এধরণের ২০,০০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। ১৯৯৬২ টা জায়গায় ৪০৭ টা এফআইআর করা হয়েছে। জল অপচয় নিয়ে অভিযোগ জানাতে দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করার কথাও তিনি জানিয়েছেন। নম্বর দু’টি হল, ৮৯০২০৫২২২২২ এবং ৮৯০২০৬৬৬৬৬. এই নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।

নবান্নর পরে গত সোমবার বিধানসভায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে দফতরের একাধিক কর্মীদের ঢিলেঢালা আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কাজে গাফিলতির অভিযোগে একাধিক ঠিকাদার, একাধিক ইঞ্জিনিয়রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান তিনি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়ে মাঠে নেমেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।

এদিকে বিধানসভায় বিধায়ক সমীর কুমার জানার প্রশ্নের উত্তরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি  মন্ত্রী জানান, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ সাপেক্ষে  জল জীবন মিশন প্রকল্পে মোট ১ কোটি ৭৫ লক্ষ পরিবারের মধ্যে ৯২.৯৭ লক্ষ বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র, হাসপাতাল ও স্বাস্হ্য কেন্দ্র, গ্রাম পঞ্চায়েত ভবন, সর্বসাধারণের ব্যবহৃত শৌচালয়কে এই প্রকল্পের আওতা ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি আরও জানান, পানীয় জলের গুণমান রক্ষা ও সুনিশ্চিত করণের জন্য রাজ্যের ২১৭ টি ল্যাবরেটরির মধ্যে ২১৬টি ল্যাবরেটরি এনএবিএল-এর স্বীকৃতি বা শ়ংসাপত্র পেয়েছে।