উচ্চ-প্রাথমিক নিয়োগে হয়রানির শিকার শিক্ষক – শিক্ষিকারা!

শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে হয়রানির শিকার নতুন শিক্ষক – শিক্ষিকারা। জেলার স্কুলে যুক্ত হতে গেলে সংশ্লিষ্ট স্কুল এমনকি ডিআইদের তরফে শিক্ষকদেরকে নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হয়রানি রুখতে তাই এবার কড়া পদক্ষেপ করল স্কুল শিক্ষা দফতর। এরই মধ্যে জারি হয়েছে নির্দেশিকা। সেখানে বলা হয়েছে-

. অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে একজন শিক্ষক যিনি যে বিষয়ে চাকরির আবেদন করেছেন কোন স্কুলে সেই বিষয় না থাকলে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, এটা অনুচিত। ২০১৬ সালের এসএসসির আইন অনুযায়ী মনে রাখতে হবে যে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অঙ্ক পড়াতে পারবেন। সে তিনি অঙ্কের যেকোনও শাখা থেকেই আসুন না কেন। এর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে কোন শিক্ষক স্কুলে যোগ দিতে গিয়ে দেখছেন, সেখানে পরিচালন সমিতি নেই। তাই তাঁকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে অবিলম্বে সেই সব স্কুলে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে এবং ওই শিক্ষককে কাজে যোগ দিতে বাধ্য থাকবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।


. অনেক জেলার ডিআইরা ইন্টারভিউ কল লেটারের দাবি করছেন শিক্ষকদের কাছ থেকে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। শুধু তাই নয়, তাঁরা এমনও বলছেন, নিয়োগ দেওয়ার আগে ডিআই খোদ পর্যবেক্ষণ করবেন! যা নিয়ে দফতরের তরফে কোন রকম এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। নিয়োগের অধিকার কেবলমাত্র মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রয়েছে। সে বিষয়ে শিক্ষা দফতর স্পষ্ট জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়ার অধিকার সংশ্লিষ্ট স্কুলের রয়েছে।
ছোটখাটো ভুল ত্রুটি যেমন নামের বানান ভুল বা ঠিকানায় কোন অক্ষর বেশি থাকা সেগুলোর জন্যও হয়রানি হতে হচ্ছে শিক্ষকদের। সেক্ষেত্রে দফতরের নির্দেশ ওই ধরনের ছোটখাটো ভুল ত্রুটি এড়িয়ে চলতে হবে।


. কোনও জেনারেল ক্যাটাগরির চাকরি প্রার্থীকে সংরক্ষিত আসনে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। সংরক্ষিত আসনে যদি কোন শূন্য পদ থেকে থাকে সেক্ষেত্রে সংরক্ষিত প্রার্থীকে এসএসসির সঙ্গে আলোচনা করে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।