নিজস্ব প্রতিনিধি,দক্ষিণেশ্বর: বরানগরের শিক্ষিকার রহস্য মৃত্যুতে ক্রমশই বাড়ছে জটিলতা। বিদ্যালয়ের চাপে আত্মঘাতী শিক্ষিকা, দাবি পরিবারের। অপরদিকে, এই দাবি অস্বীকার করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাফাই, এই বিষয়ে স্কুলের কোন ভূমিকা নেই। কাউকে আত্মহত্যার প্ররোচনাও দেওয়া হয়নি।
তবে জানা গেছে, মানসিক অশান্তি থেকেই মৃত্যুর সিদ্ধান্ত, যা মৃত্যুর আগেই ফেসবুক পোস্তে জানিয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষিকা। সেই মতোই প্রিন্সিপালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। ফেসবুকের অভিযোগ জানিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছিলেন মৃত শিক্ষিকা।
জানা গিয়েছে, শিক্ষিকার বাড়ি দক্ষিণেশ্বর থানার অন্তর্গত বরাহনগর মাতৃমন্দির লেন এলাকায়। মৃতের নাম জসবীর কউর (৫৮)। দক্ষিণেশ্বরের খালসা মডেল স্কুলের কিন্ডারগার্টেন বিভাগে শিক্ষিকা ছিলেন। পোস্ট করা ভিডিয়োতে ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, স্কুলে কাজের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। নানাভাবে মানসিক নির্যাতন ও হেনস্থা করছেন প্রিন্সিপাল এবং স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যরা। কাজ হারানোর আশঙ্কা থাকছে। এরপরই বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করেন জসবীর।
২০০৩ সালে স্বামী মারা যান তাঁর স্বামী। তখন থেকেই শুরু স্কুলে শিক্ষকতার কাজ শুরু করেন তিনি। স্কুলের নতুন ম্যানেজমেন্ট এবং প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে তাঁর নানান অভিযোগ ছিল। গত পাঁচ বছর ধরে লাগাতার অভিযোগ করতেন তিনি। অবশেষে আত্মহত্যা করার ঠিক আগেই ভিডিও পোস্ট করেন সমাজ মাধ্যমে।
ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেকেই শুরু হয়েছে জোর শোরগোল। পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মৃত শিক্ষিকার পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত বিচারের দাবিও তুলেছেন তাঁরা। ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে বরাহনগর মাতৃমন্দির লেন অঞ্চলে।
এরই মধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। শিক্ষিকার মৃতদেহকে ময়না তদন্ত পাঠানোর নির্দেশ। আজ, শুক্রবার সাগর দত্ত হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে।