নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক অমিল হুগলি মহকুমার হাসপাতালগুলিতে। বেশ কয়েক দিন যাবৎ মানুষ আসছেন কুকুরের কামড়ে জখম অবস্থায়। তবে হাসপাতাল আসলেই কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন অমিল হওয়ায় হয়রানি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। আর যেহেতু এআরভি ভ্যাকসিন অমিল গ্রামের হাসপাতালে, তাই জেলা হাসপাতালে ভিড় উপচে পরছে।
সূত্রের খবর, বছরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে দেওয়া হয় কুকুর, বানর, বিড়াল ও শেয়ালে কামড়ানোর ভ্যাকসিন। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে জেলার হাসপাতাল গুলোতে ভ্যাকসিন কোনও ভাবেই পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরে থেকে কিনে জেলা হাসপাতালে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও গ্রামীণ হাসপাতাল গুলোতে একেবারেই পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না ভ্যাকসিন। হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরতে হয়েছে অনেককে। সমস্যায় পড়ে নৈহাটি হালিশহর ভাটপাড়া সহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ হুগলি ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে আসছেন ভ্যাকসিন নিতে।
হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্গ মৌলিক জানান, গত ১০ দিন ধরে (ARV) এআরভির সমস্যা রয়েছে জেলায়। প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে ল্যাবরেটরির ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ায়, ব্লক হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন নেই। জেলার দু’টি বড় হাসপাতাল চুঁচুড়া এবং শ্রীরামপুর ওয়ালসে পরিষেবা চালু রয়েছে, যদিও তা তুলনায় কম। আগামী সপ্তাহের বুধ বা বৃহস্পতিবার এর মধ্যেই ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজে দু একদিন দেরী হলেও অসুবিধা হয় না। তবে কুকুর কামড়ালে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে হবেই।