নিউজ পোল ব্যুরো: ফের অশান্ত সন্দেশখালি! নিখোঁজ আদিবাসী তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজিত এলাকা।
নাজট থানার এলাকায় নিখোঁজ তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ছড়ালো চাঞ্চল্য। নিখোঁজের দীর্ঘক্ষন যেতেই অবশেষে উদ্ধার হল দেহ। হাত পা বাঁধা অবস্থায় জলে পড়েছিল দেহ, ধর্ষণের পর খুন বলেই সন্দেহ।
জানা যায় তরুণী নেজারের বাসিন্দা, নাম সুরমা মুন্ডা। বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল বেশ কয়েকদিন আজ সকালে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে তার উড়তে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ খুন করা হয়েছে তরুণীকে। যদিও কারণ হিসেবে কোনও যুক্তি স্পষ্ট করা যায়নি এখনো পর্যন্ত।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি ধর্ষণের পরেই খুন, সত্যতা যাচাই করতে এরইমধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এখানেই বাধা। তদন্তকে ঘিরেও ফের জোর গন্ডগোল, পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন মৃত তরুণীর বাড়ির লোক সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে প্রমাণ লোপাটের জন্যই ধর্ষণ করে হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলা হয়েছে দেহ। দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে দোষীর দাবি জানাচ্ছে পরিবার। ঘটনা এরই মধ্যে উত্তপ্ত করেছে রাজনৈতিক মহলেকেও।
প্রসঙ্গত সন্দেশখালিতে মহিলার নির্যাতনের পর থেকেই একসময় খবরের শিরোনামে ছিল সন্দেশখালি। সন্দেশখালীর মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের একাধিক বিরোধী নেতারা। প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। পরবর্তীতে আরজিকর ধর্ষণকাণ্ডের পর আবার মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে দেখা যায় হয়েছিল বিরোধী থেকে সরকারপক্ষ উভয়কেই।
আর এবার ফের এতগুলো মাস পরে সন্দেশখালিতেই মহিলার নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আদেও কি সুরক্ষিত মহিলারা? প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ সকলেই। হাত-পা বাঁধার পেছনে লুকিয়ে অন্য গল্প? খতিয়ে দেখছে যে পুলিশ, তাদের বিরুদ্ধে আবারও অসহযোগিতার অভিযোগ। সেই আরজিকরের ঘটনার মতোই এবারেও সর্বপ্রথম অভিযোগ পরিবারের তরফ থেকে। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সন্দেশখালিসহ গোটা রাজ্যেই।