নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ আবাস তালিকাভুক্তদের জন্য এবার “সুরক্ষা বলয়’ রাজ্যের। টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে যাতে কোনভাবেই প্রতারণা না হয় এবার সেদিকেই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের।
সাইবার প্রতারকের থেকে বাঁচতে এবার থেকে তৈরি হবে নিজস্ব পোর্টাল। নিজস্ব পোর্টাল তৈরি করল পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর।
আর চিঠি দিতে হবে না আবেদনের ক্ষেত্রে। এবার থেকে সরাসরি পোর্টালে এসএমএস করে উপভোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচিত হওয়ার কথা। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্ট ভ্যালিডেশন করতে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে খোলা হবে ক্যাম্প। তবে গোটা প্রক্রিয়া শুরু হতে লাগবে আরো বেশ কয়েক দিন, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকেই নির্বাচিত উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে রাজ্য।
উপভোক্তারা আবাসের টাকা পাবেন একাধিক পদ্ধতি মেনেই। তাদের হাতে টাকা দেওয়ার আগে পঞ্চায়েত দফতরের পোর্টালের মাধ্যমে এস এম এস পাঠানো হবে। নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে আবাস তালিকাভুক্ত উপভোক্তদের দের জানিয়ে দেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। এছাড়া বিডিও, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিক দের নিয়ে অ্যাকাউন্ট ভ্যালিডেট করতে আবাস ক্যাম্প খুলা হবে।
যার মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতেকটি উপভোক্তারা তাদের নাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ যাবতীয় নথিপত্র বা তথ্য যাচাই করে সম্মতি দেবেন। তার জন্য দিতে হবে আধার কার্ড নম্বর। আবাস ক্যাম্প থেকে উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ করা হবে। যাতে এক উপভোক্তদের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে না চলে যায়। ফলে বেশ কয়েকটি দফার যাচাইয়ের পরেই আবাসের টাকা হাতে পাবেন নির্বাচিত উপভোক্তারা। ফলে না থাকবে স্বজনপোষের অভিযোগ না থাকবে দুর্নীতির অভিযোগ।
এর আগেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তদন্তের জন্য পৌঁছেছিল একাধিক জায়গায়। আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তির নাম আসলেই এসেছে কিনা সে বিষয়ে জানতে খতিয়ে দেখেন তালিকা। কোনও ব্যক্তির নামে একাধিকবার বাড়ির টাকা এসেছে কিনা। পূর্বে বাড়ির টাকা পাওয়ার পরেও আবারও কোন ব্যক্তির নাম নথিভুক্ত হয়েছে কিনা এ বিষয়ে পুনরায় খতিয়ে দেখন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, কিন্তু তাতেও লাভের লাভ হয়নি। একাধিক জায়গা থেকে দুর্নীতির প্রমাণ উঠে আসে অজস্রবার।
অনেক জায়গাই আবাসের টাকা নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠছে। সেই অভিযোগ কে প্রশাসনিক স্তরে একেবারে কড়া নজরদারি মধ্যে দিয়ে যাচাই করেই ছাড়া হয়। সেই নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। ফলে ট্যাব প্রতারণা ও সাইবার ক্রাইমের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবাসের টাকা বৈধ উপভোক্তদের বিতরণ করতে সুরক্ষা বলায় তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
এবার তালিকা খতিয়ে দেখার কাজে করবে রাজ্য কিন্তু অন্যভাবে। নয়া পন্থা অবলম্বনে সুরক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা রাজ্যের। এখন দেখার একটাই আদৌ কতটা কাজে দেবে এই পরিকল্পনা। সুরক্ষা বলয়েই কি ধরা পড়বে দুর্নীতি? আদেও নতুন পরিকল্পনায় মানুষ কতটা উপকৃত হবে সময় এগোলেই হবে সবটা।