নিউজ পোল ব্যুরো: উত্তপ্ত বাংলাদেশ, সীমান্তের দুই পারেই পড়েছে জোরালো প্রভাব। অবশেষে তার কী অবসান হতে চলল? সোমবার অর্থাৎ আজই চলবে ভারত-বাংলাদেশ বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক। সেইমতোই বাংলাদেশে পৌঁছলেন ভারতের বিদেশ সচিব।
উত্তপ্ত বাংলাদেশের কারণে ক্রমশই চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে। গোটা বিশ্বই বর্তমানে চিন্তিত বাংলাদেশের সংখ্যার লঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে। তবে বাংলাদেশের প্রভাব সবচেয়ে বেশি যাদের উপরে তা হল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্নতা চরমে পৌঁচেছে ভারতে।
বেশ কয়েকদিন যাবত ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর অনুপ্রবেশকে ঘিরেও তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই দেশের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগেই। সীমান্তের ওপারে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা থেকে উপাসনাস্থলে হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয় নয়াদিল্লি। আজ সোমবার অবশেষে সম্পন্ন হল বৈঠক। জানা যায় বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে ঢাকার ভূমিকা জানতে চেয়েছে নয়াদিল্লি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।
ভারতীয় বিদেশ সচিবের কথায়, “আগস্ট পরবর্তী সময় বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। সেই সময় থেকেই দুদেশের নেতৃত্বের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদে বসার পর ড. মহম্মদ ইউনুসকে প্রথম শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তার পরেও দুজনের মধ্যে টেলিফোনে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথোপকথন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন। দুদেশের বিদেশ সচিব এবং বিদেশ উপদেষ্টার মধ্যেও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জর সাধারণ সভা চলাকালীন দুজনের মধ্যে কথাও হয়েছে। এর পরবর্তী পদক্ষেপ স্বরূপ আমার ঢাকা সফর। এই প্রথম সরকারিভাবে দুদেশের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হল।” এ বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্ত, খোলামেলা এবং গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলে জানান মিশ্রি।
এদিন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় দুই দেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ে সম্পন্ন হয় বৈঠক। দীর্ঘ ২ ঘণ্টার কথোপকথন চলে দুপক্ষের মধ্যে।