পরিচয় জানতে গাছের গায়ে কিউ আর কোড

জেলা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি,চন্দননগরঃ এবার থেকে নিজস্ব পরিচয়ে বাঁচবে গাছ, নাম নয় বদলে থাকবে কিউ আর কোড। সম্প্রতি এমনই নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হলো চন্দননগর। এবার থেকে গাছের পরিচয় পেতে আর ফলের জন্য অপেক্ষা নয়! সেই উত্তর পাওয়া যাবে এক ক্লিকে। চন্দননগর পুর নিগম গাছে বসেছে কিউ আর কোড। নতুন বছরে স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের জন্য নতুন উপহার, থাকবে কিউ আর কোড স্ক্যান করে গাছের পরিচয় জানার ব্যবস্থা। কাজটি করছে চন্দননগর পুরনিগমের বায়ো ডাইভারসিটি ডিপার্টমেন্ট। জানা গিয়েছে চলতি ডিসেম্বর মাসেই সম্পন্ন হবে এই কাজ।

ফরাসী আমলের সৌধ থাকা আলোর শহর সাবেক ফরাসডাঙা এবার সাক্ষী রইলো আধুনিকতার সূচনায়। চন্দননগর স্ট্যান্ড রোড চার্চের ঠিক সামনে রয়েছে বহু পুরনো গাছ। গভর্মেন্ট কলেজের সামনে গঙ্গার পাড়ে বহু প্রাচীন এই গাছগুলিতেই বসছে কিউ আর কোড।

এরইমধ্যে গাছের পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং প্রতি গাছের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা কিউআর কোড। এই পদ্ধতির দ্বারা গাছের পরিচয় পত্র থেকে যে কোনও মানুষ মোবাইল স্ক্যান করে গাছ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন খুব সহজেই। গাছের প্রজাতি, বয়স, উপকারিতা যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে এক ক্লিকেই।

এই বিষয়ে কানাইলাল ফরাসি বিভাগের প্রধান শিক্ষক ও চন্দননগর পুরো নিগমের বায়োডাইভারসিটি ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সম্পাদক সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, চন্দননগর মহাবিদ্যালয় কলেজের বোটানি বিভাগে প্রতিটি গাছ আলাদা আলাদা করে সনাক্তকরণ করে কাজ সম্পন্ন করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে একটি কিউ আর কোড। যে কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। প্রাথমিক ভাবে চন্দননগর পাতাল বাড়ি থেকে স্ট্যান্ড ঘাট ও বড়বাজার লাগোয়া এলাকায় ১৫০ থেকে ২০০ টি গাছ কে এই কিউআর কোড দেওয়া হবে। যাতে মানুষ খুব সহজেই জানতে পারেন তার নিকট প্রতিবেশী গাছ সম্পর্কে।গুগলের উইকিপিডিয়ার সঙ্গে কিউ আর কোড যোগ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে।সেখান থেকেই মিলবে তথ্য।

চন্দননগর মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘চন্দননগর শহরের ইতিহাস অনেক।বহু মানুষ বিদেশ থেকেও চন্দননগর শহরে আসেন।তারা এই প্রাচীন গাছ গুলো দেখে অনেক সময় তাদের সম্পর্কে জানতে চান।আমরা তাই এই ব্যবস্থা করেছি।গাছের নাম্বারিং যেমন থাকবে তেমনি কিউআর কোড লাগানো থাকবে।যেটা স্ক্যান করলে গাছ সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে’।