নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতাঃ বাস যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এবার যাত্রী সাথী অ্যাপস অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে পরিবহন দফতর। মঙ্গলবার বাস যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বাস মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহন সচিব সৌমিত্র মোহন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের আই জি ট্রাফিক সহ তথ্য প্রযুক্তি দফতরের সচিব ও বাসমালিক সংগঠন। টেক্সীর আদলে সরকারি এবং বেসরকারি বাসে যাত্রী সাথী অ্যাপস চালু করতে চলেছে পরিবহন দফতর। আজকে বৈঠকে কলকাতার থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যাওয়া ১২ টি সরকারি রুট পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হতে চলেছে বাসের যাত্রী সাথী অ্যাপ। যে সমিতি সরকারি রুটে যাত্রী সাথী চালু করা হবে।
তার মধ্যে রয়েছে AC – 39, AC 50A , AC 37A, V-1, S-10, S – 23A, AC -2, AC- 43, AC- 40, AC -23A, EB-12 এবং S-68। এই সমস্ত সরকারি বাস রুট পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হবে যাত্রী সাথী অ্যাপ।যার মাধ্যমে এবার থাকে বাস চালক বাস চালু করতেই যাত্রী সাথী আপসে লগ ইন করার সাথে অ্যাপ সরাসরি প্রশাসন এবং পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে। যার ফলে বাস চালক রাশ ড্রাইভিং করা থেকে বিরত থাকবে। শুধু তাই নয় যাত্রী সাথী অ্যাপ দ্বারা বাস যাত্রীরা ও তার গন্তব্যে যাওয়ার বাসের গতিপ্রকৃতি জানতে পারবে।
রাজ্য সরকারের যাত্রী সাথী অ্যাপকে স্বাগত জানিয়েছে সমস্ত বাস মালিক সংগঠন। এই বিষয়ে সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেস সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা জানিয়েছেন যে যাত্রী সাথী অ্যাপের মাধ্যমে একদিকে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য বাস পরিষেবা নিশ্চিত হবে বলে জানালেন তিনি। তবে হাই কোর্টের নির্দেশে ১৫ বছরের বাস বাতিল নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা জানালেন টিটু সাহা।
তবে রাজ্য সরকারের বাসকে যাত্রী সাথী অ্যাপ ব্যবহার করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস এন্ড মিনি বাস এসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব প্রদীপ নারায়ণ বসু। তার দাবি যাত্রী দের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই যাত্রী সাথী অ্যাপ উপযোগী হবে বলে জানালেন তিনি।
বাস চালকদের মত কন্ডাক্টরদেরও লাইসেন্স করার দাবি জানানো হয়েছে এই বৈঠকে, বলে জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস এন্ড মিনি বাস এসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব প্রদীপ নারায়ণ বসু। এদিনের বৈঠকে ১৫ বছরের বাস বাতিল করার সিদ্ধান্তে নিয়ে আলোচনা না হলেও, সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেস পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করার কথা জানালেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা। তার দাবি বাস বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার রাজ্য সরকারের হাতে নেই।
তাই তারা ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে বাস বাতিল করার সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করেছেন বলে জানালেন টিটু সাহা। প্রসঙ্গত ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিল করে দেওয়া হলে আগামী মার্চ মাস থেকে সমস্যা ক্রমশ বাড়তে পারে। রাস্তায় বাসের সংখ্যা ক্রমেই কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। সেই সঙ্গেই বাস মালিকদের একাংশের দাবি যদি পুরনো বাস বলে ১৫ বছর বয়সের সব বাসকে বাতিল করে দেওয়া হলে বাড়বে যাত্রি ভোগান্তি। তাদের দাবি ১৫ বছর বয়স হয়ে গেলেও একাধিক বাস এখনও রাস্তায় চলার ক্ষেত্রে উপযোগী রয়েছে। সেগুলিকে এখনই সরিয়ে দেওয়াটা ঠিক হবে না। ফলে তার বিরোধিতা করে পুনরায় হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন বাস মালিকদের একাংশ।