শালিমার এক্সপ্রেসের এক ধাক্কায় প্রাণ গেল তরতাজা তরুণীর

জেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি,হাওড়া: কানে হেডফোন গুঁজে রেললাইন পারাপারের সময় ফের বিপদ। মৃত্যুদূতের মতো ধেয়ে এল শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস! এক ধাক্কায় রেললাইনে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ হারালেন বছর সাতাশের তরুণী।
শনিবার সকালে এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল বোটানিক্যাল গার্ডেনের কাছে পদ্মপুকুর স্টেশন। কুয়াশা ঘেরা রেললাইন পারাপারের সময় দূরপাল্লার দ্রুতগতির ট্রেনের শব্দ কানে পৌঁছয়নি তরুণীর। যার জেরে এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছে জিআরপি।
দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। প্রতি শনিবার শালিমার থেকে সুপারফাস্ট উইকলি এক্সপ্রেস ছাড়ে সেকেন্দ্রাবাদের উদ্দেশে। এদিনও সকালে সেই ট্রেনটি শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়ে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়।

পদ্মপুকুর স্টেশনের কাছে এক তরুণী রেললাইন পেরচ্ছিলেন। দ্রুতগতির চালক বারবার হুইসল বাজালেও শব্দ কানে যায়নি ফলতো দুর্ঘটনা। কারণ, তাঁর কানে ছিল হেডফোন। এদিকে, কুয়াশার কারণে ট্রেনটি দূর থেকে দেখতেও পাননি তিনি। ফলে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেই গেল।
জিআরপি সূত্রে খবর, মৃতের নাম অঙ্কিতা পাত্র, বয়স ২৭ বছর। বাড়ি বি গার্ডেন থানার অন্তর্গত বাগানপাড়ায়। জানা গিয়েছে, সল্টলেকের একটি তথ্যপ্রযুক্তি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত অঙ্কিতা। এদিন সকালে অফিস যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় জিআরপি। খবর দেওয়া হয় পরিবারে। এভাবে মেয়েকে হারিয়ে স্বভাবতই দিশেহারা পরিবারের লোকজন। তবে রেললাইন পেরনোর সময় ফোনে কথা বলা বা কানে হেডফোন না রাখা নিয়ে রেল যে বারবার সতর্ক করছে, তাতে জনতার তেমন ভ্রূক্ষেপ এখনও। অঙ্কিতার মৃত্যুর ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল