নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ ক্যালভাট, নজর পড়ে না পুরসভার। যার জেরেই প্রাণ গেল তরতাজা যুবকের। হাওড়ার বালি বিধানসভার অন্তর্গত, বর্তমানে 31 ও 32 নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে সর্বদা ব্যস্ত রাস্তার মধ্যে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল ড্রেনের উপর একটি ক্যালভাট। সেই জরাজীর্ণ ক্যালভাটের জন্যই শনিবার প্রাণ গেলো যুবকের এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।
ক্যালভাটটি লিলুয়া থানার অন্তর্গত পোকড়ি গলির মুখে অবস্থিত। এই পোকড়ি গলির সংযোগস্থলটি ভগ্ন অবস্থায় রয়েছে বহুকাল, ফলত প্রায়শই এই এলাকায় দুর্ঘটনার খবর মেলে।
ওই অঞ্চলের স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এই সংযোগস্থলে কোনরকম প্রশাসনের মানুষ বা ট্রাফিক পুলিশ কর্মরত থাকেন না। তার ফলে প্রায়সই ঘটে বিভিন্ন রকম ছোটখাটো দুর্ঘটনা। মধ্যরাত বাদ দিয়ে সর্বদাই লেগে থাকে জ্যাম জট এই রাস্তা তে। স্কুল চালু ও ছুটির সময় এই রাস্তা দিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের সর্বদা প্রাণ হাতে করে যাওয়া আসা করতে হয়।
এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয় লিলুয়া ওভারব্রিজ ধরে বিভিন্ন দিকে ভারী ভারী যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এই রাস্তায় একদিকে যেমন যানবাহনের চাপ অন্যদিকে টোটো চালকদের দৌরাত্ম ওই অঞ্চলটিকে নরক বানিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। আজ সকাল বেলা বিবেক প্রসাদ নামে একটি কুড়ি বছরের যুবক নিজের বাইকে করে বাড়ি থেকে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কিন্তু ওই পকোরী গলির মুখে যে ক্যাল্ভাটটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল সেই ক্যাল ভাটের সঙ্গে সংঘর্ষে, প্রায় ১০ হাত দূরে ছিটকে পড়ে বাইক সমেত ওই যুবক।
ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় যুবকের। খবর পেয়ে লিলুয়া থানার পুলিশ ছুটে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং এই ঘটনায় তৎক্ষণাৎ স্থানীয় মানুষের খোব ও রোস কে প্রশমন করলেও পরবর্তীকালে স্থানীয় মানুষরাই ওই ক্যালভাট তুলে দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তার ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় লিলুয়া স্টেশন রোড জুড়ে।
পরবর্তীকালে পুলিশ গিয়ে স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে রাস্তার ঠিক করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং মৃত যুবকের পরিবারকে সহানুভূতি জানিয়ে তাদের সাথে কথা বলবে বলেও জানায়। তারপরেই রাস্তা অবরোধ করা, মানুষজন অবরোধ তুলে নেয়। স্থানীয় মানুষর জানিয়েছেন একদিনের মধ্যে যদি রাস্তা ঠিক না হয় তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তারা।