নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি: বড়দিনের আগে হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। আর বড়দিন মানেই কেক। এই কেক খাওয়ার মাধ্যমেই খৃষ্টান সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বড়দিন সেলিব্রেট করেন আপামর বাঙালি। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনে কেক খাওয়ার রীতি রেওয়াজ বহুদিন ধরেই প্রচলিত এই বাংলাতেও। আর গ্রাহকদের সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন চরম ব্যস্ততা বেকারিগুলিতে। নানা ধরনের কেক তৈরি করতে ব্যস্ত বেকারির কর্মীরা।
হুগলি জেলার শিয়াখালার একটি প্রতিষ্ঠিত বেকারি শিল্পীর ম্যানেজার বলেন, ‘বর্তমানে কেকের চাহিদা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখন মানুষ কেক কেটে সেলিব্রেট করছেন। এখন মিষ্টির সঙ্গে সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়িতে কেক, পেস্ট্রি নিয়ে যাওয়াও অনেকে অভ্যাস করে ফেলেছেন। আর বড়দিনে বিগত কয়েক বছরে কেক-পেস্ট্রির চাহিদা বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বড়দিনে কেকের স্বাদ বজায় রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ প্রস্তুতকারকদের কাছে।’
কারণ বাঙালির বড়দিন উদযাপন কাজু, কিশমিশ আর মোরব্বায় ঠাসা ফ্রুট কেক ছাড়া অসমাপ্ত। সেই কেক তৈরির খরচে এবছর যেন কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। করোনার সময় বড়দিনের বাজার খুব খারাপ ছিল। এখন সেই দুঃসহ পর্ব মিটেছে। কিন্তু জিনিপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া বলে বিক্রিবাটাতে বেশ প্রভাব পড়বে বলে অনুমান করছে প্রস্তুতকারকরা। চড়া মূল্যবৃদ্ধির জন্য জিনিসের গুণমান বজায় রেখে সুস্বাদু কেক ক্রেতাদের মুখে তুলে দিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে প্রস্তুতকারকদের।
মধ্যবিত্তের চেনা ব্র্যান্ড আর রোজকার ব্যবহারের কেকের বাজার অবশ্য অতটা খারাপ নয়। বিক্রিবাটায় খুব একটা ঘাটতি হয়নি বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এখন দেখার আগামী দিনে এই ২৫ ডিসেম্বর কতটা বিক্রি হয়? আর তার থেকে কিছুটা রোজগারের আশায় দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন প্রস্তুতকারক থেকে ব্যবসায়ীরা।