নিজস্ব প্রতিনিধি:- সোমবার লোকসভায় পেশ হবে এক দেশ, এক নির্বাচন বিল। বৃহস্পতিবারই এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মোদি মন্ত্রীসভা। সোমবার বিলটি লোকসভায় পেশ করবেন আইনমন্ত্রী অর্জুন কাম মেঘওয়াল। পরে আলোচনার জন্য বিলটি পাঠানো হবে জেপিসিতে (জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি)। দীর্ঘ আলোচনা ও ঐক্যমত তৈরীর জন্য বিলটিকে জেপিসিতে পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের দুই কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পর সেটা পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর মিললেই বিলটি পরিণত হবে আইনে। দীর্ঘদিন ধরেই এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। মোদি সরকারের যুক্তি, এক দেশ, এক নির্বাচন হলে লাগাম টানা যাবে নির্বাচনের বিপুল ব্যয়ে। একদিকে যেমন সরকারের খরচ কমবে, তেমনি অন্য দিকে ঝামেলা পোহাতে হবে না সরকারি কর্মীদের। নির্বাচন ঘোষণা হলে লাগু হয় আদর্শ আচরণবিধি। তার জেরে ব্যাহত হয় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। খাটুনি কমবে ভোটকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন হলে, বাড়তে পারে ভোট দানের হারও। বারবার ভোটপ্রচারের ঝক্কি না থাকায় রাজনৈতিক দলের নেতারা আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতে পারবেন মানুষের কাজে। খসড়া বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি এক দেশ, এক নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। এই হিসেবে ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর নয়া সরকার গঠিত হলে, তার পরেই শুরু হবে প্রসেস। এর পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে চলবে একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। সেক্ষেত্রে ২০২৯ সালের পর যে যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, ২০৩৪ এর লোকসভা নির্বাচনের সময় সেই সরকার ভেঙে দেওয়া হবে। ওই নির্বাচন হবে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই। যদি কোনও বিধানসভা বা লোকসভা মেয়াদ শেষের আগেই ভেঙে যায়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনে গঠিত সরকারের মেয়াদ থাকবে অবশিষ্ট সময়ের জন্যই। এখন দেখার সোমবার সংসদে এই বিল পেশ হলে কি পরিস্থিতি দাঁড়ায়।