নির্মম নির্যাতনের কি এই ফল! এক কবরেই পাওয়া গেল ১ লাখ মানুষের মৃতদেহ

আন্তর্জাতিক

নিউজ পোল ব্যুরো: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ওপরে একটি গণকবরে অন্তত ১০ লাখ লাশ! উফ! কি ভয়ংকর! হারহিম করা একটি খবর। সিরিয়ার সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসন আমলে এসব মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ওপরে একটি গণকবরে অন্তত ১০ লাখ লাশ রয়েছে বলে দাবি করেছে একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা! জানা গেছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে আল কুতায়ফাহ নামক স্থানে গণকবরটি অবস্থিত।

সিরিয়ায় গত কয়েক বছরে আবিষ্কৃত পাঁচটি গণকবরের মধ্যে এটি একটি। এখানে অন্তত ১০ লাখ মানুষকে কবর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সিরিয়ায় এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত এই পাঁচটি কবর ছাড়াও এখানে আরও অনেক গণকবর রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। বাশারের শাসনামলে এসব গণকবরে বেশিরভাগ সিরিয়ার নাগরিক নির্যাতনের শিকার হন। তবে শুধু সিরিয়ার নাগরিকই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদেরও এই অন্ধকূপে সমাহিত করা হয়েছে।

২০১১ সালে, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় ওই প্রতিবাদে নিহত হন স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ। বলা হচ্ছে, সিরিয়ায় গত ১৩ বছরে গৃহযুদ্ধের কারণে বাশার বাহিনীর হাতে অন্তত কয়েক লাখ মানুষ মারা গেছে। বাশার আল-আসাদের বাবা হাফেজ আল-আসাদ একটানা ২৯ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন। ২০০০ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর বাশার আল-আসাদ প্রেসিডেন্ট হন। তিনি ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।
বাশারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন ও রহস্যজনক কারাগারে আটক রাখার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত তার সরকারের পতন ঘটে।