নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: ছুটি কি শুধুই বড়রা উপভোগ করতে জানে,তা হবে না| এবার ছোটোরাও বড়দের মরোই একইরকম ভাবে ছুটি পাবে|
উচ্চবিদ্যালয়ের মতো প্রাথমিকেও মিলবে এবার সমান ছুটি। এবার বড়দের মতো দুর্গাপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত টানা ছুটি পাবে ছোটোরাও।
মঙ্গলবার এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কথা অনুযায়ী যে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পুজো উপলক্ষ্যে ২৫ দিন (রবিবার বাদে) টানা ছুটি। এর পাশাপাশি আবার কাটছাঁট করা হয়েছে গ্রীষ্মের ছুটিতে। গ্রীষ্মাবকাশ উপলক্ষ্যে ছুটি ঘোষিত হয়েছে ৯ দিন। এদিকে আবার গত বছর গ্রীষ্মাবকাশের ঘোষিত ছুটি ছিল ১৯ দিন। এবার তা ১০ দিন কমানো হয়েছে।
দুর্গাপুজোর জন্য যে ১১ দিন ছুটি পেতো পড়ুয়ারা সেটাই এবার বাড়ল আরও অনেকটা। কালীপুজো এবং ভাইফোঁটা মিলিয়ে ছিল আরও ৪দিন ছুটি। সেখানেই বাড়লো আরও ১০ দিনের ছুটি।
আর ছুটির এই নতুন তালিকাকে ঘিরেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। শিক্ষক মহলের বড় অংশই এই পরিবর্তনকে ভালোভাবে দেখছে না। শিক্ষকদের দাবি, গ্রীষ্মের ছুটি বাড়িয়ে পুজোর ছুটি কমানো হোক। সেই দাবি মূলত ছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। কারণ, পুজো উপলক্ষ্যে টানা ২৫ দিন ছুটি দেয় পর্ষদ। এদিকে, প্রাথমিকে লক্ষ্মীপুজোর পরই স্কুল খুলে যেত এতদিন। বাড়তি ছুটি খুদে পড়ুয়ারা পেত গ্রীষ্মাবকাশ উপলক্ষ্যে। তবে, এক্ষেত্রে সেই দাবির উল্টোপথে হেঁটেই বরং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে নিজেদের ছুটির তালিকায় সামঞ্জস্য আনল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
অর্থাৎ, পুজোর ছুটি বাড়িয়ে গ্রীষ্মাবকাশ কমিয়ে দেওয়া হল। যার প্রভাব সরাসরি পড়তে পারে শিক্ষায়। পড়াশোনায় অনীহা আনতে পারে পড়ুয়াদের, মনে করছেন শিক্ষকমহল।
যদিও এবিষয়ে অ্যাডভান্সড সোসাইটি অব হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গরমের ছুটি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল। বরং, লক্ষ্মীপুজোর পরে আবহাওয়া ভালো থাকে। সেটাই সিলেবাস এগনোর সময়’।