নিউজ পোল ব্যুরো: মৃতদেহ উদ্ধারের ২ঘণ্টার মধ্যে তিন আততায়ী গ্রেফতার। জোড়া খুনের তদন্তে সাফল্য পূর্ব বর্ধমান পুলিশের।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বর্ধমানের বাসিন্দা সুপর্ণা চৌধুরী নামে একজন মহিলা ভাতার থানায় এসে জানান যে তাঁর মেসো অভিজিৎ যশ এবং মাসি ছবিরাণী যশের সঙ্গে গত তিনদিন ধরে ফোনে কোন যোগাযোগ করে উঠতে পারছেন না!
ভাতার রবীন্দ্রপল্লীতে তাঁদের বাড়িটিও বাইরে থেকে তালা দেওয়া আছে! এরপর আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভাতার থানার পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় তাঁর মেসোমশাই এবং মাসীমা দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝের ওপর মরে পড়ে আছেন। ঘরের মধ্যে সব জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভাতার থানার তরফে খবরটি এসপি পূর্ব বর্ধমানকে জানানো হয়। তাঁর নির্দেশে একটি সিট গঠন করা হয়। পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে অতি দ্রুত তদন্তকারী অফিসাররা ঘটনাস্থলে হাজির হন।
এর পাশাপাশি মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। টেকনিক্যাল সাপোর্টস টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সোর্সের মাধ্যমে জানা যায় যে মৃত অভিজিৎ বাবুর সেজ শালীর মেয়ে মহুয়া সামন্ত ওরফে কেয়া সামন্ত বিভিন্ন সময়ে এদের কাছে টাকার দাবি করত কিন্তু এরা অপমান করে তাড়িয়ে দিতেন।
প্রাথমিক তদন্তে টেকনিক্যাল ইনপুট ও সোর্সের মাধ্যমে জানা গেছে যে পূর্ব আক্রোশবশত গত শনিবার অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর দুপুরবেলা মহুয়া সামন্ত এবং তাঁর দুই ছেলে অরিত্র সামন্ত এবং অনিকেত সামন্ত অভিজিত যশ ও ছবিরানী যশকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ও টাকাপয়সা নিয়ে চলে যায়।
যাবার সময় বাড়িটির বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে চলে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর অপরাধীরা তাঁদের অপরাধ স্বীকার করে। আজ বুধবার অপরাধীদের আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ করতে চাইতে পুলিশ। এছাড়াও আজ বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তরফ থেকে ফরেনসিক টিমকে ডাকা হয়েছে ঘটনাস্থলের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণের জন্য।